এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > জোট হলেও কি উতড়াবে উপনির্বাচন? বাম-কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

জোট হলেও কি উতড়াবে উপনির্বাচন? বাম-কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

 

কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বামেদের আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক ছিল। লাল পার্টির সঙ্গে গান্ধীবাদী নেতাদের পাশাপাশি বসা তো দূর অস্ত, একে অপরের মুখ পর্যন্ত দর্শন করতেন না। কিন্তু কালের নিয়মে এখন সেই তারাই হাতে হাত ধরে লড়তে শুরু করেছেন। গত 2016 সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে প্রথমবার বাম এবং কংগ্রেসের জোট প্রত্যক্ষ করেছিল বঙ্গবাসী।

তবে তারপর আসন সমঝোতার অভাবে বহু চেষ্টা করলেও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই দুই দলের জোট সম্ভব হয়নি। যার কারণে 18 টা আসন পেয়ে 22 টি আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে বাংলায় বিরোধী আসন দখল করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু অবশেষে রাজ্যের আসন্ন তিন কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবন।

আজই যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের মধ্যে জোটের কথা জানিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু বাম এবং কংগ্রেস জোট করে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলেও এতে কি তারা সাফল্য পাবে! এখন তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কেননা 2011 সালে বামেরা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রায় সব কটা নির্বাচনেই তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে।

পাশাপাশি কংগ্রেস সেইভাবে এই রাজ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তবে সময় থাকলেও বাম এবং কংগ্রেস এই দুই দলই বিরোধীদলের জায়গা গ্রহণ করতে পারেনি। যার ফলে সুযোগ নিয়ে বিরোধীদলের আসন দখল করে তৃণমূলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিজেপি। আর মানুষ বর্তমানে তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যেই একটি দলকে বেছে নিতে শুরু করেছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই এমন পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস জোট করলেও তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি অনেকে বলছেন, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের অনেক ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। ফলে সেই সমস্ত ভোট আর বামেদের দিকে ফিরবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই জোট করলেও সেই ভোট যদি না আসে, তাহলে কি করে লাল এবং তেরেঙ্গা পার্টি শক্তিশালী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের বেশকিছু আসনে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট না হওয়া এবং একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় উপনির্বাচনের আগে এই জোট নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যার ফলে ভালো ফল করা তো দূর অস্ত, উল্টে দুই দলের অনেক কর্মীরাই ক্ষুব্ধ হয়ে জোট প্রার্থীর বদলে তৃণমূল এবং বিজেপিকে সমর্থন করতে পারেন। আর এই সমস্ত ভাবনাচিন্তা এবং জল্পনা-কল্পনাকে মাথায় রেখেই বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বাম এবং কংগ্রেসের এই জোটকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ভোট রাজনীতির কথা ঠিকমত বলা যায় না। তাই এখন ভোটবাক্স খোলার পর বাম-কংগ্রেসের জোটের প্রার্থীরা ঠিক কতটা সাফল্য পান, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!