দুই আসনের জটে প্রায় ভেস্তে যাওয়ার মুখে বাম- কংগ্রেস জোট, লোকসভা ভোটের লড়াই চতুর্মুখীই? কলকাতা রাজ্য March 1, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধীদল বিজেপিকে সরাতে প্রথম থেকেই গত 2016 র বিধানসভা নির্বাচনের মতই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও হাতে হাত ধরে লড়াইয়ের ইচ্ছা প্রকাশ করে এসেছে কংগ্রেস এবং বামেরা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই কোন আসনে কারা প্রার্থী দেবে তা নিয়ে কংগ্রেস এবং বামেদের জোটে তীব্র দড়িটানাটানি শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই দুই দলের মধ্যে সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, শংকর মালাকার আর অন্যদিকে সিপিএমের রবীন দেবের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর এই বৈঠকেও দুই দলের জোটে কাঁটার মতো বিঁধতে দেখা যায় সেই মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনটিকে। জানা গেছে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের বাম নেতাদের প্রাথমিক শর্ত ছিল যে যার জয়ী আসনে কোনো পারস্পারিক লড়াই করবে না। আর সেই ক্ষেত্রে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে জোটের প্রার্থী হিসেবে সেখানে সিপিএম লড়বে। আর অন্যদিকে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের দখলে থাকা চারটি আসনে বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন দেবে। কিন্তু আলিমুদ্দিনের পক্ষ থেকে এহেন কথা বলা হলেও তা নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত উঠে এল না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বাম নেতাদের একাংশের মতে, নানা শরিক দলের আপত্তি সত্ত্বেও সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে তারা ধীরে ধীরে কংগ্রেসের সাথে জোটের দিকে এগিয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসনে লড়াইয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ সিপিএমের নেতৃত্বরা। এদিন এই প্রসঙ্গে দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “উভয়পক্ষের দখলে থাকা 6 টি আসন নিয়ে আমরা আগে আলোচনায় ঐকমত্যে আসার চেষ্টা করছি। তারপর সেই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বাকি আসনগুলি নিয়ে আলোচনা হবে।” অন্যদিকে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির ভোটকে একত্রিত করতেই কংগ্রেসের সাথে জোট করা হবে বলে উল্লেখ করে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রটিতে যেকোনো পরিস্থিতিতে আমরা প্রার্থী দেব। জোটের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আন্তরিকতা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখিয়ে যাব। যাতে সকলের কাছে একটা নির্দিষ্ট বার্তা পৌঁছয়।” আর এখানেই একাংশের মনে প্রশ্ন যে, তাহলে কি রাজ্যে এবার অবশেষে চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে? কেননা যে রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে একে অপরের সাথে আপত্তি এবং এই দুইখানেই কংগ্রেস এবং বামেরা দুইজনেই প্রার্থী দিতে চায় এবং এই দুটি আসনে নিজেদের ঐক্যমত্য না হলে যে জোট হবে না তা যখন বারে বারেই বলছে দুই পক্ষ, তাহলে সেই ক্ষেত্রে যখন এই দুটি আসন থেকে পিছিয়ে আসতে চায় না হাত এবং কাস্তে হাতুড়ি শিবির সেই দিক থেকে তাহলে তো তাদের এই জোট ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাহলে শেষ পর্যন্ত ঠিক কি হবে? কোন পথে এগোবে বাম-কংগ্রেস জোট? এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -