এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কংগ্রেস-বাম জোট কি পাকা? নয়া সিদ্ধান্তে গুঞ্জন

কংগ্রেস-বাম জোট কি পাকা? নয়া সিদ্ধান্তে গুঞ্জন

2016 সালে প্রথমবার বাম এবং কংগ্রেস একজোট হয়ে এরাজ্যে লড়াই করেছিল। তারপর সেইভাবে কোনও সাফল্য না মেলায় পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে আর তাদের একসাথে লড়তে দেখা যায়নি। তবে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সেই বাম এবং কংগ্রেস জোর ধাক্কা খাওয়ায় ফের দুইদল নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।

তবে দু’দলের তরফেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার অপেক্ষা ছিল। বামেদের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে সমস্ত সিদ্ধান্ত পাকা করেই ফেলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র। আর এবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে রাজ্যে আসন্ন তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোটে সম্মতি দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

সূত্রের খবর, শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আর তখনই এই ব্যাপারে দলের সুপ্রিমোর কাছে প্রস্তাব দেন সোমেন বাবু। যার ফলে তখনই বাম-কংগ্রেস জোটে সম্মতি জানান সোনিয়া গান্ধী বলে খবর।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। যেখানে জোট করে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাম ও কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তারা দুই দল নিজেদের মধ্যে রফাসূত্রও সেরে ফেলেছে।তবে এই ব্যাপারে সম্মতি শীর্ষ নেতৃত্বের সম্মতি নিতেই এদিন দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন সোমেন মিত্র।

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বামেরা খড়গপুর ও কালিয়াগঞ্জ আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। করিমপুর আসনটি বামেদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালের আগে এই কেন্দ্রে বামেদের বিধায়ক ছিল দীর্ঘদিন। সেই কারণেই বামেদের ছেড়ে অন্য দুটি আসনে কংগ্রেস লড়তে চাইছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিশেষ সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী জানিয়ে দিয়েছেন যে যদি এই জোটে বামনেতাদের কোনও আপত্তি না থাকে, কংগ্রেসেরও তাহলে এই রফায় জোট করতে কোনও আপত্তি নেই। আর তাই সোনিয়া গান্ধীর এই কথার পর এখন প্রদেশ কংগ্রেসের হাতেই সব কিছু রয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

জানা গেছে, আগামী সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে এই ব্যাপারে আলোচনায় কংগ্রেস বসবেন নেতারা। আর তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে কংগ্রেসের একাংশ বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়ার কথা জানালেও কংগ্রেস নেতৃত্বের একটা অংশ চাইছে এককভাবে লড়াই করতে।

তাঁদের দাডবি, বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়ার অর্থ নিজেদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এক্ষেত্রে তারা বহরমপুরে অধীর চৌধুরী একা লড়াই করে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাই এককভাবেও জেতা যায়, এমন যুক্তিও খাড়া করতে শুরু করেছেন। তবে বর্তমানে বাম এবং কংগ্রেস, কারোরই সেইভাবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর মত ক্ষমতা নেই।

তাই তারা যদি নিজেদের মধ্যে জোট না করে তাহলে আরও গভীর সংকটে পড়ে যেতে পারে। আর সেই কারণেই এই জোটের চিন্তাভাবনা বলে দাবি অনেকের। কিন্তু দু’দল নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেও তাতে আদৌ তারা রাজ্যের উদীয়মান শক্তি বিজেপি এবং শাসকদল তৃনমূলকে রুখতে পারে কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!