রাজ্যজুড়ে দলবদলের হিড়িক! আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পেতেই হিমশিম অবস্থা নেতৃত্বের! কলকাতা রাজ্য February 2, 2020 2011 সালে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর যত নির্বাচন এসেছে, তত নির্বাচনেই মুখ পুড়েছে বামফ্রন্টের। হাতে কিছু জনপ্রতিনিধি থাকলেও ক্ষমতার দাপটে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন তারা। যার ফলে কার্যত ভাড়ার শূন্য হয়ে গেছে বাম শিবিরের। তবে বর্তমানে পৌরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নতুন প্রার্থী খুঁজতে শুরু করেছে বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু যেভাবে বাংলার মূল লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে, তাতে নতুন মুখ পাওয়া যে কার্যত অসম্ভব, তা বুঝতে শুরু করেছে এই দুই দলের নেতারা। বস্তুত, গত 2013 সালে আলিপুরদুয়ার পৌরসভা নির্বাচনে কুড়িটি আসনের মধ্যে সিপিএম 10 টিতে আরএসপি 8 টিতে, সিপিআই 1 টি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক একটিতে পার্থী দেয়। তবে সেই সময় কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট না থাকায় কংগ্রেস পৃথকভাবে 13 টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেয়। যার পরবর্তীতে ফলাফলে দেখা যায়, সিপিএম 4, আরএসপি 3, সিপিআইএম 1 এবং কংগ্রেস 6 আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু এর কিছুদিন যেতে না যেতেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। বাম ও কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরএসপি এবং সিপিএমের দুজন কাউন্সিলার এবং কংগ্রেসের 6 জন কাউন্সিলর তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। যার ফলে আলিপুরদুয়ার পৌরসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নিজেদের টিকিটে জিতে যেভাবে কাউন্সিলররা শাসক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন, তাতে দীর্ঘদিন ধরেই এই পৌরসভায় বাম এবং কংগ্রেসের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। কিন্তু এবার পৌরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, সেখানে ভালো ফল করতে এবং স্বচ্ছ মুখ তৈরতে তৎপর হয়ে উঠেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবনের নেতারা। কিন্তু কোথায় পাওয়া যাবে সেই স্বচ্ছ এবং ভালো মুখ? জানা গেছে, প্রার্থী খুঁজতে এখন কার্যত হিমশিম খাবার জোগাড় দুই দলের নেতাদের। নতুন মুখ খুঁজতে গেলেও বারেবারেই হোঁচট খেতে হচ্ছে দুই দলের নেতাদের। কিন্তু যদি প্রার্থী ঠিকঠাক না দিতে পারে বাম এবং কংগ্রেস, তাহলে তো শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যেই মূল লড়াই হবে। সেদিক থেকে তো দশ ক্রোশ দূরে থাকবে এই দুই রাজনৈতিক দল! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা যখন এহেন কথা বলছেন, তখন তা মানতে নারাজ বাম এবং কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার সিপিএমের বিরোধী দলনেতা অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, “কয়েকজন কাউন্সিলারের দলত্যাগে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। পৌরসভা ভোটে দাঁড়াতে প্রচুর লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দলই ঠিক করবে, কাকে পৌরসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হবে।” এদিকে এই প্রসঙ্গে আরএসপি জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক বলেন, “পৌরসভা ভোটে কে কটা ওয়ার্ডে লড়বে, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আলোচনার পরেই তা ঠিক হবে। আমাদের দলের মধ্যে প্রচুর কর্মী আছে। ফলে পৌরসভা ভোটের প্রার্থী হিসাবে নতুন মুখ পেতে আমাদের অসুবিধা হবে না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি গজেন বর্মণ বলেন, “আমাদের দলের কাউন্সিলররা ছেড়ে চলে গেলেও, কোনো শূন্যতা তৈরি হয়নি। এসব অপপ্রচার। পৌরসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে আমরা নতুন মুখ খোজার কাজ শুরু করে দিয়েছি। নতুন মুখ পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।” তবে বাইরে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বরা এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ আটলেও, ভেতরে ভেতরে যে তারা এই ব্যাপারে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে এখন পৌরসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব কতটা নতুন মুখ নিয়ে আসতে পারে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -