এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লড়াই অতীত? বিজেপিকে আটকাতে বামেরা এখন তৃণমূলের পাশেই! বড় বার্তা 17 সংগঠনের

লড়াই অতীত? বিজেপিকে আটকাতে বামেরা এখন তৃণমূলের পাশেই! বড় বার্তা 17 সংগঠনের


বাম বিরোধীতার মধ্য দিয়েই রাজ্যের ক্ষমতা দখল রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে বামফ্রন্ট বা সিপিএমই ছিল তৃণমূলের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু কালের নিয়মে এখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী দল হয়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 আসন দখল করার পরেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের। সেদিক থেকে বামফ্রন্ট এখন রাজ্যের আর সেই জায়গায় নেই।

তবে বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যাওয়ায় একদিকে যেমন অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের, ঠিক তেমনই অস্বস্তি বাড়ছে বামফ্রন্টের। তাই এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশেই দাঁড়াল বামফ্রন্ট। সূত্রের খবর, সিপিএম, সিপিআই প্রায় 17 টি বাম দল, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে লাগাতার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠানো নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রাজ্য কেন পরিযায়ী শ্রমিকদের সামলাতে পারছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই বিজেপিকে চাপে রেখে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বাম নেতৃত্ব তৃণমূলকে কি সমঝোতার বার্তা দিল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন এই ব্যাপারেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সুর মিলিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন, “অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমপানের জন্য কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য দিলেও করোনা মোকাবিলায় একটি কানাকড়িও রাজ্যকে দেয়নি। বরঞ্চ কেন্দ্র দফায় দফায় টিম পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছে।”

তিনি অরুবলেন, “ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ভাড়ার 75% বহন করতে হচ্ছে। অথচ কেন্দ্র বলছে, নিখরচায় শ্রমিকদের আনা হচ্ছে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুন।” পাশাপাশি রাজ্যে এত পরিযায়ী শ্রমিক পাঠানো হলে, পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাম নেতারা।

রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, বামেদের এই সিদ্ধান্ত থেকে কার্যত পরিষ্কার যে, তারা এবার রাজ্য সরকারের পথে হেঁটেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে অনেকটাই চাপে রাখল। অর্থাৎ অন্যান্য ইস্যুতে বাম নেতারা তৃণমূলে বিরোধিতা করলেও, এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চাপে রেখে রীতিমত জল্পনা তৈরি করে দিল রাজ্য রাজনীতিতে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপি এর ফলে কতটা চাপে পড়ে এবং তৃণমূল ও বামফ্রন্টের মধ্যে কোনো সমঝোতার চোখে পড়ে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!