এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > জিতেও বামফ্রন্টের ‘কল্যানে’ চরম অস্বস্তিতে অভিষেক

জিতেও বামফ্রন্টের ‘কল্যানে’ চরম অস্বস্তিতে অভিষেক

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাম ও কংগ্রেস একসাথে প্রার্থী দেওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তা গোড়াতেই নাকচ হয়ে যায়। ফলে তাইনিয়ে একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে একসাথে জোট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগ দিতে চাওয়া ‘মহাজোট’, আর তার উপরে রাজনৈতিক ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যসভায় পঞ্চম আসনে নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে নিজেদের অতিরিক্ত ভোট কংগ্রেসকে দিয়ে সমর্থন জানাবেন, তখন আবার কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস জোট সম্ভবনা নিয়ে জল্পনা হয় প্রবল। আর তা আরো বড় আকার নেয়, যখন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির ‘ভুলে ভরা’ মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রশ্ন তুলে দেন বাম নেতারা।

“নির্বাচন কমিশনকে আবার বিষয়টি নিয়ে জানিয়েছি। আজ ভোট ছিল। অভিষেক মনু সিংভি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু আমরাও দেখছি নির্বাচন কমিশনকে যে তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারে তারা কী করে। আমাদের কাছে এটা ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ সিচুয়েশন।” গতকাল সিপিএম প্রার্থী রবিন দেব এমনটাই মন্তব্য করলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির উদ্যেশ্যে। যদিও এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে এখনো কোনো উত্তর পাননি রবিন দেব। তবে আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে আর বিষয়টি নিয়ে খুঁচিয়ে ঘা করতে চাইছে না সিপিএম, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে রাজ্যজুড়ে একদিকে যখন শাসকদলের কাছে একের পর এক বিধায়ক-নেতা-কর্মী খুইয়ে বেশ চাপে দুই ‘জোটসঙ্গী’, তার উপরে গেরুয়া শিবিরও ক্রমশ হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে যে বঙ্গভূমিতে বহু পিছনে এই দুই দল, আসল বিরোধী তারাই। সবমিলিয়ে অস্তিত্ত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আপাতত বামফ্রন্টের নীতি হতে চলেছে ‘ওয়েট এন্ড ওয়াচ’, তবে তা বলে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির উপর থেকেও চাপ তুলে নিতে রাজি নয় তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!