“ল্যাজকাটা হনুমান” বলে শুভেন্দুকে আক্রমণ, রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বড় চমক মমতার! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা যে অন্যান্য বারের থেকে অনেকটা আলাদা হতে চলেছে এবং প্রতিনিয়ত অধিবেশন যে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে শাসক-বিরোধী তরজায়, প্রথম দিনেই তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যপাল ভাষণ দিতে ওঠার সাথে সাথেই ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা কেন সেখানে নেই, তা তুলে ধরে রীতিমতো বিক্ষোভ করতে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিক্ষোভ যে আগামী দিনের অধিবেশনগুলোতেও চলবে, এবং নানা ইস্যুতে যে শাসক শিবিরকে চেপে ধরবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। সেই মত করেই পরিষদীয় বৈঠকে এই ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে না হতেই রীতিমতো ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। যেখানে বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে অধিবেশনে শাসক-বিরোধী তরজায়। আর এরপরই ওয়াকআউট করেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। এদিকে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করার পরেই বর্তমান বিজেপি দল সম্পর্কে মন্তব্য করে তাদের “লেজকাটা হনুমান” বলে কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বাংলা ভাগের বিপক্ষে মত পোষণ করতে দেখা যায় তাকে। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের নানা বিষয়ে দূরত্ব হলেও, অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনে রাজ্যপাল ভাষণ পড়তে উদ্যত হলেও, যেভাবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তাতে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও বিরোধী দলকে কটাক্ষ করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। সূত্রের খবর, এদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে ওয়াকআউট করতেই তার তীব্র প্রতিবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে নিজের প্রাক্তন সতীর্থ তথা বর্তমান প্রতিপক্ষ টিমের প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ল্যাজকাটা হনুমানের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো কথার সৌজন্য নেই। মাননীয় রাজ্যপাল মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর যারা তাকে ভাষণটা পড়তে দিল না, অ্যালাও করল না, তারা এখানে আমি কত বড় প্রমাণ করতে এসেছে। বাজপেয়ি, আডবানি জমানার বিজেপির সঙ্গে মোদী-শাহের বিজেপির কোনো মিল নেই। বহু বিজেপি নেতা-নেত্রীর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখনকার বিজেপি খায় না মাথায় মাখে, আমার জানা নেই।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ বিধানসভার অধিবেশনে বর্তমান বিরোধী দল বিজেপিকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি এখনকার বিজেপির সঙ্গে অতীতের বিজেপির যে কোনো সম্পর্ক নেই, সেই কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপিকেও একহাত নিতে দেখা গেল তাকে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, এবারের রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন প্রতি সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। কেননা অতীতের মতো বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেস নেই। এবারে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বিরোধী দলনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম দিনের অধিবেশনেই হট্টগোল করে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে নরম ভাবলে ভুল হবে। আর মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর তারপরই অধিবেশনে এই রকম ঘটনা ঘটানোর জন্য বিরোধী দল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা দখল করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন টার্গেট দিল্লি দখল। সেই লক্ষ্যে দলকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। আর তাই বিধানসভায় বর্তমান বিরোধী দল বিজেপির হৈ- হট্টগোলের কথা তুলে ধরে বর্তমান বিজেপির সঙ্গে অতীতের বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -