এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > লকডাউন উঠলেও করোনা থেকে বাঁচতে সম্পূর্ণ বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা? সামনে এল নতুন তথ্য

লকডাউন উঠলেও করোনা থেকে বাঁচতে সম্পূর্ণ বদলে যাবে মানুষের জীবনযাত্রা? সামনে এল নতুন তথ্য


করোনা ভাইরাস মানুষকে একেবারে গৃহবন্দী করে দিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই ভাইরাসকে বধ করতে মানুষ এখন ঘরেই থাকছেন। বিভিন্ন দেশ লকডাউন। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে মানব সমাজ এতদিন প্রকৃতির মধ্যে বিচরণ করলেও, দীর্ঘদিন ধরে এই করোনা ভাইরাসের জন্য ঘরে থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর কেমন হবে সকলের চালচলন, এখন এই প্রশ্ন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

অনেকে বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে শুরু করবেন, তখন দেখা যাবে, প্রকৃতি নতুন করে সেজে উঠেছে। অনেকের আবার দাবি, পৃথিবীর জনসংখ্যা এই করোনা ভাইরাসের কারণে অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু কেমন হবে গোটা পরিস্থিতি, এখন তা নিয়ে বার্তা দিল দক্ষিণ কোরিয়া। বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে চিকিৎসক প্রত্যেকেই বলছেন, করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ভয়াবহ রোগ।

ফলে ধীরে ধীরে লকডাউন উঠলেও, এই করোনা যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তার জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আগামী দুই বছর কিভাবে চলাচল করবেন জনসাধারণ, তা নিয়ে সিওল প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দু বছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক পড়া অত্যন্ত বাধ্যতামূলক।

শুধু তাই নয়, লকডাউনের সময় যেভাবে কেউ কারও সাথে কোলাকুলি করতে পারতেন না, ঠিক একইভাবে আগামী দুই বছর তা করা যাবে না। বরঞ্চ নমস্কার করেই সৌজন্য বিনিময় করতে হবে। পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও আসছে কড়া নিয়ম। জানা গেছে, এখন থেকে আগেভাগে বুকিং করে গাড়িতে উঠতে হবে। এমনকি ট্যাক্সিতে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্য নিতে হবে বলেও জানিয়েছে এখানকার প্রশাসন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মানুষের সময় কাটানোর অন্যতম অঙ্গ রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্টগুলো। ফলে সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও কি ছাড় মিলবে? বিষয়টা যতটা সহজ ভাবে নেওয়া হচ্ছে, ঠিক ততটা নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব বেশি সময় কোনো রেস্টুরেন্টে কাটানো যাবে না। খাবার অর্ডার দেওয়ার সাথে সাথেই তা পরিবেশন করতে হবে। শুধু তাই নয়, এক প্লেট থেকে আর কেউ একসাথে খাবার খেতে পারবেন না।

অন্যদিকে অফিসগুলোকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করানোর পরামর্শ দেওয়া থেকে শুরু করে শপিংমলে এক মিটার দূরত্বে রেখে কেনাকাটা করার কথা বলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গ্যাং লিপ বলেন, “বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই বছর এই রোগের প্রভাব থাকবে। আমাদের এটা মেনে নিতে হবে যে, আগে যেভাবে জীবন উপভোগ করতাম, আগামীদিনে সেটা সম্ভব নয়।”

তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার।” আর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কথা শোনার পরেই এখন একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে, মানুষ এতদিন যেভাবে স্বাধীনভাবে চলাচল করত, আগামী দুই বছর তা অন্তত ভুলে যেতে হবে মানব সমাজকে।

বিভিন্ন দেশ লকডাউন ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও করোনা ভাইরাস যে থাকবে এবং তাকে সম্পূর্ণরূপে বধ করতে গেলে যে কিছু নিয়মাবলী মানতেই হবে, তা স্পষ্ট করে দিল দক্ষিণ কোরিয়া প্রশাসন। এখন দক্ষিণ কোরিয়ার মতই ভারত যদি লকডাউন উঠিয়ে দেয়, তাহলে তারাও ওইরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। মানুষকে বাইরে বেরোনোর অনুমতি দিলেও সামাজিক দূরত্ব এবং সচেতনতা নিয়েই যে সকলকে চলতে হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!