এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বাম-কংগ্রেসের একযোগে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে, কেন? কারণ জেনে নিন !

বাম-কংগ্রেসের একযোগে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে, কেন? কারণ জেনে নিন !


লকডাউন এর প্রাথমিক পর্ব থেকেই দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহণ ব্যবস্থা। আনলক পর্ব থেকে অবশ্য ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই অফিস কাছারি খুলে গিয়েছে, সাধারণ মানুষকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে। কিন্তু কলকাতায় বাস, মেট্রো চললেও লোকাল ট্রেন কিন্তু চলছে না। এবং লাগাতার লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় ধীরে ধীরে আমজনতার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে বলে মনে করা হচ্ছে। রেল কর্মীদের জন্য বিভিন্ন রুটে ট্রেন চললেও এবার আর কোনো বাধা না মেনে সেই ট্রেনে উঠে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা।

ফলস্বরূপ, রেল পুলিশের ধরপাকড়। ট্রেন বন্ধ থাকায় যথারীতি বাস, অটো, টোটো ভাড়া প্রায় চতুর্গুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ দিন আনা দিন খাওয়া, দরিদ্র, সাধারণ মধ্যবিত্তকে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হচ্ছে কর্মস্থলে পৌঁছাতে। তাই এবার গণপরিবহণ নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন চিঠি লিখলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। বর্তমানে কয়েকটি মাত্র ট্রেন চলছে, কিন্তু তাও শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবার কাজে যুক্ত যারা তাঁদের জন্য।

কিন্তু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা সেই ট্রেনে চড়তে গেলে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে অনেকেই দাবি করছেন, মেট্রোরেল যেভাবে চালু হয়েছে ঠিক সেভাবেই এবার লোকাল ট্রেন চালু করা হোক। অন্যদিকে কংগ্রেস ও বাম পরিষদীয় দলের তরফ থেকে দুই নেতা চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এবার মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করুক লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে। অন্যদিকে জানা গেছে, আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী যে চিঠি লিখেছেন, তাতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন রাজ্যজুড়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

করোনা পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষ কেনাকাটার জন্য বাইরে বেরোচ্ছে। দোকান-বাজার, অফিস-কাছারি সব জায়গায় ভিড় বাড়ছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সচ্ছল যারা, তাঁরা নিজস্ব পরিবহণের ব্যবস্থা করলেও দিন আনা, দিন খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষদের কাছে বিকল্প কিছু নেই। তাই সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলে রাজ্য সরকারের কাছে গণপরিবহণের বিকল্প ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে লোকাল ট্রেন চালুর দাবি নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। প্রায় দিনই স্টেশনে স্টেশনে বিক্ষোভের ঘটনা কানে আসছে।

রোজকার পর্যবেক্ষণে জানা যাচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে ততই জরুরি পরিষেবার জন্য যে লোকাল ট্রেনগুলি চলছে তাতে অবৈধ যাত্রী ওঠার প্রবণতা বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে, যাত্রীরা কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই লোকাল ট্রেনগুলিতে উঠে পড়ছেন। যাত্রীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের জন্য অন্তত প্রতি রুটে একটি বা দুটি করে লোকাল ট্রেন আপাতত চালানো হোক। তাতে সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। দীর্ঘদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, লোকাল ট্রেন চলা শুরু হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেদিকে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি রাজ্য সরকার। আপাতত কংগ্রেস ও বাম নেতার চিঠির প্রত্যুত্তরে রাজ্য সরকার কি সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!