এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পুজোর আগেই লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে? নবান্নে রেলের চিঠি ঘিরে জল্পনা !

পুজোর আগেই লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে? নবান্নে রেলের চিঠি ঘিরে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই রেল চালানো নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা গেছিল রেল মন্ত্রককে। তাঁর কথায় আগামী আনলকের পর্যায় রেল চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে রেল চালানো যেতে পারে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যেহেতু এর মধ্যেই বাড়তি ১২টি মেমু ট্রেন রেলের কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য চালানো হচ্ছিল, তাই ভবিষ্যতেও ট্রেন চালাতে যে কোন সমস্যা হবে না সে কথা জানানো হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

অন্যদিকে স্টেশনে আসা যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, প্লাটফর্মে সাদা বৃত্তাকার গণ্ডি কাটা থেকে শুরু করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশেষ উপায় চিন্তা করা হচ্ছিল। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছিল করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রতি প্লাটফর্মে স্যানিটাইজার এবং থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। ফলত মেট্রোর মতই রেলেও সুবিধা নিতে পারবেন বলেই সাধারণ মানুষ আশা রাখছিলেন।

অন্যদিকে এর মধ্যেই মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। আর সেইসঙ্গে অত্যন্ত দ্রুতগতিতেই বর্তমানে এগিয়ে চলেছে মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোর সাফল্যের পরে তাই স্বভাবতই মানুষের মনে তৈরি হয়েছে লোকাল ট্রেনের প্রত্যাশা। মার্চ মাসে লকডাউনের পর থেকে লোকাল ট্রেন চলতে দেখা গেলেও এবার সেটা চালু হোক বলেই দাবি উঠেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

তবে সেই সঙ্গে জরুরী ক্ষেত্রে রেলের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য কিছু বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে তাতে সমস্যা বেড়েছে বই কমেনি বলেই মনে করছেন অনেকে। তার কারণ আনলক পর্যায়ে কর্মক্ষেত্র খুলে গেছে বহুদিন। তবে সেই তুলনায় তাল মিলিয়ে ঠিক হয়নি পরিবহন ব্যবস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলত দূর-দূরান্তের কর্মক্ষেত্রে পাড়ি দিতে বেশ সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, যেহেতু বেশিরভাগ মানুষই লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় সমস্যা দেখা গেছে তাদের মধ্যে। লোকাল ট্রেনের দাবিতে আন্দোলন দেখা গেছে বহু জায়গায়। সেই সঙ্গে লোকাল ট্রেনের দাবিতে অবরোধ ভাঙচুরও চলেছে বহু ক্ষেত্রে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে হাওড়া ও শিয়ালদা মিলিয়ে প্রতিদিন ১৩৮৭ লোকাল ইএমইউ ট্রেন চলাত বলে জানা যায়। এরমধ্যে শিয়ালদায় সবচেয়ে বেশি ট্রেন চলত, প্রায় ৯২৭টি। অন্যদিকে, হাওড়া থেকে ৪৬০টি ইএমইউ ট্রেন চলত। মার্চ মাস থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধের ফলে তাই ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করেই শিয়ালদা ডিভিশনে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকা আয় হত বলে জানা গেছে।

রেল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাই রাজ্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ট্রেন চালানো নিয়ে আলোচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সামনে রয়েছে দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে একাধিক উৎসব। অন্যবার যেখানে মানুষজনকে সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে প্রতিবছরই নরমাল পরিস্থিতিতেই একাধিক বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে এ বছরে এমন পরিস্থিতিতে যদি ট্রেন না চলে তাহলে সাধারণ মানুষকে হয়রান হতে হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষের লোকাল ট্রেন না চালানো নিয়ে যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে, সে কথা অস্বীকার করা যায় না। আর এত কিছু চিন্তা ভাবনা করেই শেষমেষ এই কর্তৃপক্ষ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর তাই ট্রেন চালানো নিয়ে আলোচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই যে এর একটি সমাধান পাওয়া সম্ভব হবে, সেই আশাই রেখেছেন সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!