লকডাউন বৃদ্ধির সুফল পাওয়া গিয়েছে কি? কি বলছে কেন্দ্র জাতীয় April 22, 2020 ভয়াবহ মারন ভাইরাস করোনাকে প্রতিহত করবার জন্য প্রথম থেকেই একমাত্র উপায় হিসেবে ভারতবর্ষ বেছে নিয়েছে লকডাউনকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যই এবং মহামারী থেকে দেশকে মুক্তি দিতে প্রথম পর্যায়ে 21 দিনের লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে টানা 21 দিন লকডাউনের পর আবার যে ভারতকে লকডাউন করতে হবে, তা আগেভাগেই আঁচ করা হয়েছিল। আর সেইমত দ্বিতীয় পর্যায়ে টানা 19 দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে সেই লকডাউণের পর্ব চলছে গোটা দেশজুড়ে। কিন্তু সত্যিই কি এই লকডাউনে কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে? কেননা বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে। ফলে সেদিক থেকে যদি সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘিত হয়, তাহলে কি করে করোনাকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে এবং এই সুফল পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, দিনের পর দিন লকডাউন করা হলেও, আদতে কি করোনাকে বিদায় দেওয়া সম্ভব হবে ভারতের পক্ষে? নানা মহলে যখন এই ব্যাপারে সংশয়, ঠিক তখনই লকডাউন করাতে অনেকটাই সুফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব লব আগরওয়াল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেশের বেশ কিছু জায়গায় করোনা সংক্রমণের হার এই লকডাউনের কারণে অনেকটাই কমেছে বলে জানানো হয়। যার মধ্যে কেরল, উড়িষ্যার মত রাজ্যগুলোর নাম করে কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরেই এখন দেশের সিংহভাগ মানুষের মধ্যে আশার আলো দানা বাঁধতে শুরু করেছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দুই দফায় লকডাউর মধ্যে যদি অনেক জায়গায় করোনার প্রভাব কমতে শুরু করে, তাহলে প্রয়োজনে আরও লকডাউন করা উচিত। তাতে দেশবাসীর হয়ত কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার অনেকটাই সমাধান করা যাবে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, “সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য আগেভাগে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত অনেক কাজে দিয়েছে। লকডাউন শুরু করার আগে যেখানে 3.4 দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল, তা এখন 7.5 দিনে হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, 100 জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে 80 জনের শরীরে অল্প থেকে মাঝারি ধরনের করোনা উপসর্গ চোখে পড়ছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কেন্দ্রের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার যে, লকডাউনের ফলে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। আপনার মতামত জানান -