লকডাউনেও মদ বা লটারির নেশা অব্যাহত রাখতে ভরসা পুরনো প্রেসক্রিপশন! তাতেও জুটল পুলিশের মার! রাজ্য March 26, 2020 কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বাড়িতে থাকা কার্যত অসম্ভব। ভয়াবহ করোনা রোগে বাইরে বেরিয়ে প্রয়োজনে মরতে তারা রাজি। কিন্তু লটারি বা মদের নেশা তাদের যাবে না। একেই বাড়িতে গৃহবন্দী, তার উপরে এই নেশাটুকু না করলে চলে! আর তাইতো ঝোপ বুঝে কোপ মারতে পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে কেউ মদের দোকানে, আবার কেউ বা লটারি টিকিট কাটতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। নেশামত্ত সেই সমস্ত মানুষদের কাছে তাদের পরিবার-পরিজন বড় নয়, বরঞ্চ তাদের ইচ্ছেটাই বড়। তবে মনের অসুখ যেমন প্রেমিকা ধরে, ঠিক তেমনই পুলিশ প্রশাসন ধরে ফেলে নেশায় মত্ত থাকা যুবকের অস্বস্তি। যখন সারা রাজ্য কার্যত স্তব্ধ, ঠিক তখনই পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওষুধের নাম করে কাটোয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় নেশা এবং লটারি টিকিট কাটায় মত্ত যুবকরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়লেন। তবে পুলিশ ধরে ফেলল সব কিছুই। জানা যায়, মঙ্গলবার বেলার দিকে কাটোয়ার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু ব্যক্তিকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পুলিশ তাদের কাছে এসে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই তারা দেখান পুরনো প্রেসক্রিপশন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে কাকিমা, দাদু, দিদার প্রেসক্রিপশন নিয়ে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে তারা চেষ্টা করেন, মদের দোকান বা লটারি দোকানে যাওয়ার। তবে এই সমস্ত ব্যক্তিরা পুলিশের কাছে পুরনো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে নেশার টানে ছুটলেও, পুলিশ তাদের ওপর শেষ পর্যন্ত নজর রাখে। আর তাতেই দেখা যায়, তারা ওষুধের দোকান নয়। বাড়ির বয়স্কদের প্রেসক্রিপসনকে হাতিয়ার করে নিজেদের নেশার টানে বাইরে বের হয়েছেন। আর এরপরই স্থানীয় মদের দোকানগুলোতে ভিড় কমাতে রীতিমতো বেশ কিছু জায়গায় লাঠিচার্জ করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। এদিন এই প্রসঙ্গে কাটোয়া থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, “রাস্তায় আমাদের দেখলেই ছুটে গিয়ে অনেকে ওষুধের দোকানে ভিড় করছেন বা ফাঁকা বোতল দেখিয়ে দুধ কেনার অজুহাত দিচ্ছেন। তবে এদিন গোটা কাটোয়া শহর জুড়ে হাতেগোনা কয়েকজনকে ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হননি। শহরের প্রতিটি রাস্তাই শুনশান ছিল। পুলিশ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে জমায়েত দেখলেই হটিয়ে দিচ্ছে।” আর সাধারন মানুষদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ দেখে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। তবে প্রশাসনের উচিত, এখন সম্পূর্ণরূপে মদ এবং লটারির দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া। তাছাড়া পুরনো প্রেসক্রিপশনে সুযোগ নিয়ে নেশামুক্ত যুবকরা এভাবেই রাস্তায় বেরোবেন। আর তার ফলে গুটিকয়েক মানুষের জন্য বৃদ্ধি পাবে ভাইরাস। এখন পুরনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাইরে বেরোনো রুখতে প্রশাসন কতটা কড়া পদক্ষেপ নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -