“লকডাউন আইন ভঙ্গ করায় মুখ্যমন্ত্রীকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত” – দাবি ঘিরে জোর শোরগোল কলকাতা রাজ্য April 26, 2020 করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও রাস্তায় নেমে গন্ডি কাটা, আবার কখনও বা দোকানে কিভাবে দাঁড়াতে হবে, তা দেখিয়ে দিতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে। আর এখানে বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস প্রত্যেকেই আপত্তি জানাচ্ছেন, এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে নামাকে কেন্দ্র করে। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এভাবে পথে নেমে নিজেই আইন ভেঙে ফেলেছেন। ফলে সাধারণ মানুষ কিভাবে সেই আইন মানবেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজ্যে লকডাউন ভাঙ্গা হচ্ছে। আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসবার পরই কিছুটা চাপে পরেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন রাস্তায় গিয়ে বার্তা দিচ্ছেন তিনি। তবে গাড়িতে বসেই মাইকের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে তাকে। এক্ষেত্রে রাস্তায় নামছেন না তিনি। আর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই রাস্তায় নামা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে বিরোধীদের আপত্তি রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ। তবে বিরোধীরা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ছে না। এবার করোনা ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সবথেকে বেশি যদি কেউ লকডাউন ভেঙে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল একেবারে নির্বাচনী প্রচারের স্তরে কাজ করছে। এক মাস ধরে লকডাউন আইন ভঙ্গ করায় মুখ্যমন্ত্রীকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত।” আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি করায় ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু ইস্যুতে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রশান্ত কিশোরকে কলকাতায় ডেকে পাঠানো সম্পর্কে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল কিংবা সরকার কাউকেই ভরসা করতে পারছেন না। তাই লকডাউনের মধ্যে দিল্লি থেকে পিকেকে ডেকে আনতে হয়েছে। অ্যাডভান্স টাকা দেওয়া আছে। তাই এই কাজ করা হয়েছে।” অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার বিরুদ্ধেও সরব হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “ভুল পথে চালিত করছেন মুখ্যসচিব। এর বিরুদ্ধে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় 200 কোটি টাকার তহবিল তৈরি করেছিল। কিন্তু বিভিন্ন চ্যানেলে মধ্যে মধ্যে তিন মিনিটের বিজ্ঞাপন চলছে। তাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে!” আর বিভিন্ন বিষয়ে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেও, সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় নামায় তাকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি করায়, এখন দিলীপ ঘোষের এই দাবি ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে কতটা ঝড় ওঠে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -