এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন উঠলেই করোনার মারন ঢেউ আছড়ে পড়বে ভারতে? দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সামনে এল বড়সড় দাবি

লকডাউন উঠলেই করোনার মারন ঢেউ আছড়ে পড়বে ভারতে? দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সামনে এল বড়সড় দাবি

সারাদেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চলছে মৃত্যুর মিছিল। তবে অন্যান্য দেশগুলোতে যেভাবে করোনা ভয়াবহতা চরম আকার ধারণ করেছে, ভারতবর্ষে ততটা বেগতিক আকার নিতে পারেনি। যার প্রথম এবং প্রধান কারণ টানা লকডাউন। প্রথমে 21 দিন এবং তারপর 19 দিন লকডাউনের ফলে গোটা ভারত করোনা ভয়াবহ আকার নিলেও কিছুটা স্থিতিশীল বলা চলে। তবে পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটজনক।

এদিকে টানা লকডাউনের ফলে ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যত তলানীতে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন, ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে যে সমস্ত এলাকা গ্রীন জোন বলে পরিচিত, সেখানে দোকানপাট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে আগামী 3 মে এই প্রক্রিয়া শেষের পর পুরোপুরিভাবে ধীরে ধীরে সচল হয়ে যেতে পারে ভারতবর্ষ। উঠে যেতে পারে লকডাউন।

কিন্তু যদি এই লকডাউন উঠে যায়, তাহলে পরিস্থিতি আবার কি বেগতিক হবে! এখন এই প্রশ্ন অনেকের মনে রয়েছে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এবার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন এপিডেমোলজিস্ট পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার প্রধান গিরিধর আর বাবু। এদিন তিনি বলেন, “লকডাউন যদি এখনই তুলে দেওয়া হয়, তাহলে যে করোনা আক্রান্তদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি, তাদের মধ্যে দিয়ে সারা ভারতের করোনা অতিমারী সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বিশেষজ্ঞের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তৈরি হয়েছে প্রবল আশঙ্কা। তাহলে ইতিমধ্যেই ভারত সচল করে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারপক্ষ যে ভাবনা চিন্তা করছে, তা যদি সত্যি সত্যি করে দেওয়া হয়, তাহলে তো পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে। ফলে এতদিনের লকডাউনের সারবত্তা এক সিদ্ধান্তেই ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিন তিনি বলেন, “যদি আমরা শিক্ষা নিতে পারি তাহলেই অতিমারীর সময় সারা ভারতের স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যাপক রদবদল হয়েছে‌। এই মুহূর্তে জনস্বাস্থ্যকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেই সব কিছু হয়ে যাবে, ভাবাটা ভুল। স্বাস্থ্য সম্পর্কে চেতনা বাড়ানো হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য পরিষেবার জটিলতার জন্য এখন শুধুমাত্র পাবলিক হেলথ সেক্টর দেশকে বাঁচাতে পারে।”

এদিন করোনা মোকাবিলার জন্য বেশকিছু রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন গিরিধর আর বাবু। এক্ষেত্রে মিজোরাম, মনিপুর, অরুনাচল প্রদেশ, পন্ডিচেরির কথা তুলে ধরেন তিনি। তবে ভারতবর্ষে গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ এই মুহূর্তে সবথেকে ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে বাংলার কাছে অত্যন্ত চিন্তার কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে গিরিধর আর বাবু বর্তমানে লকডাউন ওঠানোর পক্ষে যে একেবারেই সওয়াল করলেন না এবং সেই লকডাউন ওঠালে যে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, তাতে সরকারপক্ষ শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!