লকডাউন উপেক্ষা করে খেজুরিতে কালীপুজোর বিশাল মেলা! কড়া পদক্ষেপ পুলিশের কলকাতা রাজ্য March 25, 2020 কথায় আছে, কারো পৌষমাস, কারো সর্বনাশ। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে এখনো পর্যন্ত করোনা অতটা ভয়াবহতার আকার নেয়নি। যার প্রধান কারণ, সরকারের অতিমাত্রায় সচেতনতা এবং লকডাউনের মত সিদ্ধান্ত। কিন্তু সরকার যে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে থাকতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন, তা কিছু কিছু মানুষকে বোঝানোর সাধ্য করেও ব্যর্থ হচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই বলছেন, লকডাউন হয়েছে তো কি হয়েছে! তাই বলে কি আমরা চা খাব না! বাইরে বেরোবো না! ঘরে এভাবে থাকা যায় নাকি! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিক এই কথাই কিছুদিন আগে বলেছিল ইতালি। বলেছিল ফ্রান্স, চীন। তবে এখন তারা আর বলার জায়গায় নেই। কারণ অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে সেখানে। আগেভাগে ভারতবর্ষের মত বাড়তি সতর্কতা নিলে হয়তো বা সেই মৃত্যু দেখতে হত না সেই দেশগুলোকে। কিন্তু ভারত প্রচুর জনসংখ্যার দেশ হলেও, ইতালি, ফ্রান্সের দুরবস্থা দেখে তারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। তাই তো আগেভাগেই করোনাকে বধ করতে প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও দেশকে লকডাউন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ এখনও পর্যন্ত মেলা, উৎসবে মজে রয়েছেন। তারা অনুধাবন করতে পারছেন না, ভারতবর্ষের ভবিষ্যতের পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রশাসনের নির্দেশকে কার্যত উপেক্ষা করে খেজুরির কটারি গ্রামে কালীপূজা উপলক্ষে বিপুল জমায়েত লক্ষ্য করা গেল। জানা যায়, স্থানীয় একটি ক্লাবের সহযোগিতায় গত রবিবার থেকে কটারি গ্রামে কালী এবং শীতলা দেবীর পুজো শুরু হয়। আর সেই উপলক্ষে লকডাউন হওয়া সত্বেও, সোমবার রাতে রীতিমতো ডিজে বাজিয়ে মদ্যপ অবস্থায় উদ্দাম নৃত্য করে একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বাইরে থেকে আসা প্রচুর যুবকও এই অনুষ্ঠানে শামিল হয়। আর এর পরেই লকডাউন হওয়া সত্ত্বেও কেন এভাবে মেলায় জমায়েত হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। আর তারপরই আয়োজকদের মধ্যে দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।জানা যায়, কটকা গ্রামের দুজন, কটারি দেবিচক গ্রামের তিনজন সহ মোট পাঁচজনকে এদিন পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। বারবার যেখানে করোনাকে বধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে, সেখানে তা সত্ত্বেও সিদ্ধান্তকে রীতিমতো অমান্য করে যেভাবে মেলায় মজে থাকতে দেখা গেল একাংশকে, তাতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ অন্যান্যদের বার্তা দিতে চাইল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -