এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন সত্ত্বেও বাইরে সাধারণ মানুষ, কড়া পদক্ষেপ পুলিশের!

লকডাউন সত্ত্বেও বাইরে সাধারণ মানুষ, কড়া পদক্ষেপ পুলিশের!

করোনা ভাইরাসকে আটকাতে এখন রাজ্য ও দেশে চলছে লকডাউন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সারা রাজ্য জুড়ে লকডাউন করে দেওয়া সত্ত্বেও, অনেকে প্রথমদিকে তা মানতে চাননি। উল্টে বিভিন্ন কারণের অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বের হতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। তবে পুলিশের লাঠির আঘত অনেককেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। লকডাউনের ফলে রাস্তায় ভিড় না হওয়া এবং সাধারন মানুষ গৃহবন্দি হয়ে থাকায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে একদিকে যে লাভ হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই।

কিন্তু এই লকডাউনে একশ্রেণীর মানুষ বাইরে না বেরোলেও এক শ্রেণীর মানুষকে বাইরে বেরিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সকলের কাছেই। পুলিশ প্রশাসন বোঝানো সত্ত্বেও, বনগাঁর বেশকিছু এলাকায় এদিন লকডাউনকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় বের হতে দেখা গেল। যেখানে কোথাও দলবেঁধে ফুটবল খেলা, আবার কোথাও বা দলবেঁধে আড্ডা মারার ঘটনার নিদর্শন পাওয়া গেল। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জটলা সরিয়ে দিতে নেওয়া হয়েছিল উদ্যোগ।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে বনগাঁ, মতিগঞ্জ, পল্লীশ্রী এবং খয়রামারি এলাকার মাঠে ফুটবল খেলতে দেখা যায় প্রচুর যুবককে। তবে পুলিশ খবর পাওয়ার সাথে সাথেই তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়‌। অন্যদিকে বনগাঁ শহরের পূর্বপাড়া এলাকার একটি ক্লাব ঘরে বসে অনেক যুবককে মদ্যপান করতে দেখে পুলিশ। যেখানে তাদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই ব্যাপারে এক বাসিন্দা বলেন, “মানুষের একাংশের মধ্যে কোনো সচেতনতা আসেনি। তাদের আচরণ দেখলে মনে হচ্ছে, আনন্দে মেতেছেন।” এদিকে বারবার একে অপরের সাথে যাতে শরীর স্পর্শ না হয়, তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, ক্যানিংয়ে একসাথে অনেক মানুষকে বাজার করতে দেখা গেল। যার কারণ হিসেবে বিপ্লব সর্দার, নব মন্ডলরা বলেন, “আগে এক সপ্তাহ লকডাউন ছিল। এখন তিন সপ্তাহ ঘোষণা হল। এই তিন সপ্তাহ কি খাব! তাই বাড়িতে কিছু খাবার মজুত রাখার জন্যই বাজারে এসেছি। কিছুটা মালপত্র বাড়িতে মজুত থাকলে, আগামী কিছুদিন আর বাজার করতে হবে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার সাধারণ মানুষদের জন্য খোলা রয়েছে। কিন্তু যারা অবুঝের মত বাড়িতে থাকার এই বিষয়টিকে খেলা ছলে নিয়ে বাইরে বেরোলে কিছু হবে না মনে করে খেলতে বা মদ্যপান করতে এক জায়গায় জড়ো হচ্ছেন, তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কবে ফিরবে সচেতনতা!

এইভাবে যদি আবার সাধারণ মানুষ লকডাউনকে উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে পড়েন, তাহলে করোনা ভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এখন কবে সাধারণ মানুষের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় সচেতনতা আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!