এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনের মাঝেও চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে! জল্পনা বাড়িয়ে পদত্যাগ বহু প্রভাবশালী নেতার! বিজেপি যোগের জল্পনা

লকডাউনের মাঝেও চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে! জল্পনা বাড়িয়ে পদত্যাগ বহু প্রভাবশালী নেতার! বিজেপি যোগের জল্পনা

সকলের কাছে এখন চিন্তার কারণ করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসকে কিভাবে প্রতিহত করা যাবে, তা নিয়ে যেমন চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন, ঠিক তেমনই সাধারণ মানুষ লকডাউনের জেরে নিজেদের জীবন-জীবিকা চালানোর নিয়েও প্রবল চিন্তায় দিন গুজরান করছেন। আর এই পরিস্থিতিতেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমছে না। সূত্রের খবর, এবার 100 দিনের কাজ নিয়ে গোঘাটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করল।

জানা গেছে বিগত তিনদিন আগে গোঘাট টু ব্লকের অধীনে পশ্চিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজ শুরু হয়। আর সেই সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আতাউল হক এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ফরিদ খানের অনুগামীদের মধ্যে তৈরি হয় গন্ডগোল‌। পরবর্তীতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা মিটে গেলেও 100 দিনের কাজ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই তা ফের চরম আকার ধারণ করে। আর তারই ফলস্বরূপ শুক্রবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা।

একাংশের অভিযোগ, ফরিদ খানের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা আতাউল হকের অনুগামীদের উপর আক্রমণ করে। তবে লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা অপেক্ষা যেভাবে 100 দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূলের দুই নেতার মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে, তার ফলে তৃণমূল এখানে চরম অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই দুইজন হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় জখম হয়ে ভর্তি রয়েছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে শনি এবং রবিবার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ এবং পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ মোট 9 জন তাদের পদত্যাগপত্র জমা করতে চেয়ে স্থানীয় বিধায়ক মানস মজুমদারের কাছে তা দিয়ে দিয়েছেন। যা তৃণমূলের কাছে আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “আমার কাছে লিখিতভাবে তারা বিষয়টি জানিয়েছেন। তাদের চিঠি আমি ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এনিয়ে উদ্ধতন নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।” এদিকে এই বিষয়ে হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দলের জেলা অবজার্ভারকে বিষয়টা জানিয়েছি। নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবে, তা কার্যকর করা হবে।” এদিকে এই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন আতাউল হক এবং ফরিদ খান।

এদিন এই প্রসঙ্গে আতাউল সাহেব বলেন, “ফরিদ খান এর আগেও একাধিকবার নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে। একথা দলের শীর্ষ নেতাদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। দলের মধ্যে থেকে এই ধরনের কাজকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। যে কারণে আমার দলে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমি দল ছাড়ার বিষয়টি লিখিত আকারে বিধায়ককে জানিয়েছি।”

অন্যদিকে 100 দিনের কাজ নিয়ে পঞ্চায়েতে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছিল। তার জন্য স্থানীয় মানুষরা প্রতিবাদ করেছেন‌। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ফরিদ খান। আর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যে সাধারণ মানুষ যখন দুর্দিনে, তখন তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসক দলকে প্রবল অসুবিধায় ফেলে দিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

এদিকে এর জেরে এলাকায় প্রবল গুঞ্জন ছড়িয়েছে যে তারা নাকি দল ছাড়ছেন ও বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
যারা পদত্যাগ করেছে তারা দল ছাড়ার কথা না বললো, বিজেপির তরফ থেকে নাকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে এমনটাই জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে তাদেরকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে তবে তারা রাজি কি রাজি নয় তা জানা আপাতত জানা যাচ্ছে না। তবে এনিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছে এমনকি যারা পদত্যাগ করেছে তারাও মুখ খুলতে চাননি। তাদের দাবি, এসব নেহাতই রটনা, বিজেপির কেউ এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি, পরে যোগাযোগ করলেও তারা কোথাও যাচ্ছেন না, যাবেন না। কেননা তাদের ভরসা আছে শীর্ষ নেত্রীর উপর। তিনি এর বিচার অবশ্যই করবেন। কিন্তু তবুও জল্পনা যে এখন মুখে কিছু বলছেন না তারাও দল ছাড়তে চলেছেন খুব শীঘ্রই। যদিও কি হবে সেকথা বলবে ভবিষ্যৎ। তার দিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!