ক্রমশ শিথিল হচ্ছে লকডাউনের ফাঁস! কবে হবে আটকে থাকা 110 পুরসভার ভোট? সামনে এল বড়সড় ইঙ্গিত কলকাতা রাজ্য June 8, 2020 সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এতদিনে রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলো নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যেত। কিন্তু ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে সেই সমস্ত নির্বাচন বিষবাও জলে চলে গেছে। তবে বর্তমানে পঞ্চম দফার লকডাউনে কিছুটা হলেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভাগুলো নির্বাচন কবে হবে, তা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যতদিন মহামারী আইন চালু থাকবে, ততদিন বিধিনিষেধের কারণে কোনভাবেই নির্বাচন করানো সম্ভব হবে না। তবে ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করলে এই নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে মহামারী আইন শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই রাজ্য সরকারের সঙ্গেই ব্যাপারে বৈঠকে বসতে চায় নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই সর্বদলীয় বৈঠক করে মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তারা। তবে এক্ষেত্রে বেশি তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা যে কোনো নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রচার। সেদিক থেকে সামাজিক দূরত্ব যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে জমায়েত করে প্রচার করা সম্ভব হবে না। যার ফলে নির্বাচনের আসল কাজ অনেকটাই ব্যাহত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সুচারুভাবে একদিকে মহামারি আইন শিথিল হওয়া এবং অন্যদিকে নির্বাচনে যাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচার করার সুযোগ পায়, সেদিক ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের যে সমস্ত পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিরোধী বনাম সরকারের তরজা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হওয়ার পরেই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের এক কর্তা বলেন, “ভোট মানেই যে শুধু ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন, তা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো প্রচার না করতে পারলে ভোট হবে না। তাছাড়া মহামারী আইন কার্যকর থাকাকালীন ভোট করানোর বিধিনিষেধ রয়েছে। ফলে সবটাই এখন ওই আইন শিথিল হওয়ার উপর নির্ভর করছে।” অর্থাৎ একদিকে সকলের সুরক্ষা এবং অন্যদিকে নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে এখন মহামারি আইন শিথিল করার দিকেই নজর রয়েছে কমিশনের। সব মিলিয়ে এখন এই আইন কবে শিথিল হয় এবং কবে রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভার নির্বাচনের ব্যাপারে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -