এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লকডাউনের ফলে ঘরে বসেই মোটা ভাতা বিধায়কদের! CAG-র প্রশ্ন এড়াতে বড়সড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা

লকডাউনের ফলে ঘরে বসেই মোটা ভাতা বিধায়কদের! CAG-র প্রশ্ন এড়াতে বড়সড় পদক্ষেপের পরিকল্পনা


করোনা ভাইরাস আটকাতে অনেকদিন ধরেই গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আর এর ফলে সামাজিক দূরত্বে বারণ করার কারণে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ। শুধু তাই নয়, দেশের লোকসভা থেকে শুরু করে রাজ্যসভা, এমনকি বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশন বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তবে অধিবেশন স্থগিত থাকলেও, বিধায়করা তাদের মোটা ভাতা স্বাভাবিক নিয়মেই পেয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, লকডাউনের জন্য বিগত দুমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কোনো স্থায়ী কমিটির বৈঠক হচ্ছে না। কিন্তু বৈঠক না করেও বিধায়করা মাসের ষাট হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফার পর লকডাউন উঠে যেতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে জল্পনা ছাড়ানোর পরেই সেই বিধানসভা চালু করার ব্যাপারে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সবথেকে বেশি ক্ষতি হতে পারে প্রবীণ মানুষরা।

সেদিক থেকে 65 বছরের বেশি মানুষদের ঘরে থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় 294 জন বিধায়কের মধ্যে 100 জনের মত বিধায়ক রয়েছেন, যাদের বয়স 65 বছরের উর্ধ্বে। ফলে যদি বিধানসভার অধিবেশন চালু হয় এবং স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু হয়, তাহলে সেই প্রবীণ বিধায়কদের কিভাবে উপস্থিত থাকতে বলা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিধায়কদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি দেখে নিতে চাইছেন যে, স্থায়ী কমিটির দায়িত্বে রয়েছে এমন 65 বছরের বেশি কত জন বিধায়ক রয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বৈঠক না করেও যেভাবে বিধায়করা তাদের ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে একাংশ। কেননা করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত কিছু বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত বিনা বৈঠকে মোটা অংকের ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন বিধায়করা। যার ফলে পরবর্তীতে সিএজির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হতে পারে। যার ফলে বিধানসভার সচিবালয় সমস্যায় পড়তে পারে। তাই এখন থেকেই এই ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য বিধানসভা।

জুন মাসে লকডাউনের পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত দিক দেখে নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শুরু করতে চাইছে তারা। যাতে পরবর্তীতে সিএজির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন তোলা না হয়। তবে একদিকে প্রবীণ বিধায়কদের সমস্যা দেখে এবং লকডাউনকে মেনে কতটা স্থায়ী কমিটির বৈঠক করা সম্ভব হয়, এখন তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!