এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউন শিথিল হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ! সাধারন মানুষ কতটা সুরক্ষিত? উঠে গেল প্রশ্ন!

লকডাউন শিথিল হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ! সাধারন মানুষ কতটা সুরক্ষিত? উঠে গেল প্রশ্ন!


চার দফায় লকডাউন হয়েছে। পঞ্চম দফা থেকেই সেই লকডাউনে শিথীলতা এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিভিন্ন ক্ষেত্র সচল হতে শুরু করেছে। চালু হচ্ছে পরিবহন পরিষেবা। খুলছে অফিস। রাস্তাঘাট দেখে বোঝার উপায় নেই যে, লকডাউন শিথিল হলেও করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত চরমে। মানুষ উৎসবের মেজাজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। আর মানুষ যত রাস্তায় বেরোচ্ছেন, তত বাড়ছে সংক্রমণ। 130 কোটির দেশ ভারতবর্ষে লাখের সংখ্যা পেরোবে না বলে একসময় মনে করেছিলেন সকলে। কিন্তু বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু লক্ষে পৌছে গেল ভারতবর্ষে।

প্রথম এক লক্ষ রোগীকে করোনা সংক্রমিত করতে যেখানে 110 দিন সময় লেগেছিল, সেখানে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে তা পৌঁছে গেল দুই লক্ষে। আর এই সংক্রমনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকার পেছনে লকডাউন শিথিল করে দেওয়া যে অন্যতম দায়ী, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই প্রশ্ন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তো ইটালি, আমেরিকার মত পরিস্থিতি হয়ে যাবে ভারতবর্ষের। প্রথম থেকে লকডাউন করে তাহলে লাভটা কি হল?

মানুষ এতদিন বাড়িতে থাকলেও করোনাকে বধ করতে যদি আরও একটু লকডাউন কড়াকড়ি করা হত, তাহলে তো অসুবিধে সহকারে মানুষ মানিয়ে নিত নিজেদের জীবনের স্বার্থে। কিন্তু সেই ব্যাপারটি না করে যেভাবে সরকার লকডাউনকে শিথিল করে দিয়েছে এবং যেভাবে মানুষ রাস্তায় বেরোতে শুরু করেছে, তাতে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। যার ফলে ভবিষ্যৎ করুন হতে চলেছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, গত 24 ঘন্টায় গোটা দেশে নতুন করে প্রায় 8 হাজার 909 জন রোগী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু লক্ষ 7 হাজার 615 জন। অনেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও, একেবারে যদি এই করোনা ভাইরাস নিঃশেষ হয়ে যেত, তাহলে চিন্তার কিছু থাকত না। কিন্তু ক্রমশ তা বৃদ্ধি হচ্ছে। আর এটাই চিন্তার কারণ সকলের কাছে। সাধারন মানুষদের প্রশ্ন, জনতাকে কি সরকার গিনিপিক মনে করছে?

এখনই যদি এই পরিস্থিতি হয়, তাহলে আগামী দিনে করোনা ভাইরাসকে বধ করা সহজ হলেও হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে কিনা, তা বড় চিন্তার কারণ। ফলে যে করোনা ভাইরাসকে খুব একটা শক্তিশালী বলছেন না বিশেষজ্ঞরা, চিকিৎসা না হওয়ায় অনেকেই যে সেই ভাইরাসের জন্যই নিঃশেষ হয়ে যাবেন, সেই আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

ফলে পঞ্চম দফার লকডাউনে সরকারের শিথিলতাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে জনমানসে। অবিলম্বে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে 130 কোটির দেশ ভারতবর্ষ বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন সরকারের এই ব্যাপারে শুভবুদ্ধির উদয় কবে ঘটে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!