লকডাউন উপেক্ষা করে ‘গোমাতার’ মৃত্যুতে মানুষের ঢল! করোনা আতঙ্কে ঘুম উড়তে চলেছে প্রশাসনের? জাতীয় May 27, 2020 গোটা বিশ্বের বহু দেশ করোনা ভাইরাসের থাবায় টাইম মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। বাদ পড়েনি আমাদের দেশ ভারতবর্ষে। আমাদের দেশকে গ্রাস করেছে করোনা ভাইরাস। কার্যত দেশবাসীর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চতুর্থ দফার লকডাউন লাঘু করলেন ৩২ শে মে পর্যন্ত। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই দেশে লকডাউন ব্যবস্থা চালু হয়। দেশের নানা অংশে কড়া নির্দেশ জারি করা হয় লকডাউনের বিষয়ে। কিন্তু এই চতুর্থ দফার লকডাউন-এর শেষের দিকে এসে লকডাউন অমান্য করার খবর পাওয়া গেল যোগী আদিত্যনাথ-এর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের থেকে। লকডাউন এর শুরু থেকেই কড়া নির্দেশ জারি করা থাকলেও বহু মানুষ বহু এলাকায় লকডাউন অমান্য করে এদিক ওদিক ঘুরে বেরিয়েছেন। কিন্তু এবার দেখা গেল অন্য এক দৃশ্য। সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মামিন গ্রামে মারা যায় একটি গরু। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে প্রায় দেড়শ জন গ্রামবাসী গরুটির শবদেহ নিয়ে ব্যান্ডপার্টি সহ রাস্তায় শোভাযাত্রা করেন। জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার গরুটি মারা যায়। মারা যাওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে অসুস্থ অবস্থায় গ্রামের একটি স্থানীয় দোকানের সামনে এসে আশ্রয় নেয় ওই গরু। অসুস্থ গরুকে দেখে পরিচর্যা করতে শুরু করেন গ্রামের স্থানীয় মানুষরা। এরপর গরুটি মারা গেলে ঐদিন আবেগঘন অবস্থায় এলাকার পুরুষ ও মহিলা সমেত প্রায় দেড়শ জন মানুষ লকডাউন তোয়াক্কা না করে গরুটির শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে শোভাযাত্রা করে এমনটাই সূত্রের খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গেছে বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ গরুর পরিচর্যা করার পর গরুটি মারা যাওয়ায় গ্রামবাসীদের শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং গরুর শেষকৃত্য করার জন্য তার শোভাযাত্রায় গ্রামের সকলেই অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাপ্ত সূত্রের তথ্য মারফত জানা গেছে ঐদিন এমন জনসমাগম দেখে পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়। এমনকি দেড়শ জনের মধ্যে প্রায় ১০০ জনকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঐদিন গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে মামিম গ্রামের ওই দোকানদার দীনেশচন্দ্র শর্মাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন তিনি কাতরভাবে জানান,“বেশ কয়েকদিন ধরেই আমার দোকানের সামনেই গরুটি থাকত। গোমাতার মৃত্যুতে শোকর্ত হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। সকলেই গোমাতার শেষযাত্রায় অংশ নিতে চাইছিল। কীভাবে নিষেধ করতাম বলুন!” ঘটনাটিকে ঘিরে ঐদিন এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় বলে জানা গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার এখনোও কোনো রকম মুখ খোলেননি বলে সূত্রের খবর। আপনার মতামত জানান -