এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > লকডাউনে রাজস্ব আদায় কমতেই কি এবার বেতনে কোপ পড়তে চলেছে সরকারের এই কর্মীদের ওপর? জল্পনা চরমে

লকডাউনে রাজস্ব আদায় কমতেই কি এবার বেতনে কোপ পড়তে চলেছে সরকারের এই কর্মীদের ওপর? জল্পনা চরমে


লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের অর্থনৈতিক রোজগার বন্ধ। প্রথম দফা, দ্বিতীয় দফা, দ্বিতীয় দফা ছাড়িয়ে এখন চতুর্থ দফার মধ্যে দিয়ে লকডাউন পালন করছে গোটা দেশ। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। আর দীর্ঘদিন ধরে একটি দেশে বা একটি রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব কিভাবে আদায় হবে, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে।

শুধু তাই নয়, লকডাউন পরিস্থিতিকে সারিয়ে ওঠার পর সরকারি কর্মীদের বেতন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীরা ছাঁটাই হতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কায় এবার সীলমোহর পড়তে চলেছে‌ বলে মনে করছে একাংশ। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার পৌরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে কমেছে রাজস্ব আদায়। জানা গেছে, এপ্রিল মাসে মোট আয় 35 শতাংশ কমে যায়। তাই এমতাবস্তায় আলিপুরদুয়ার পৌরসভার 250 জন অস্থায়ী কর্মী চলতি মাসে তাদের বেতন পাবেন কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পৌর কর্মচারী সংগঠনগুলো।

একই আশঙ্কা করেছেন আলিপুরদুয়ার পৌরসভার বিদায়ী তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস দত্ত। আর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্মীর বেতন কম করবে না বলে দাবি করা হলেও, যেভাবে এই পৌরসভায় আয় কমে গিয়েছে, তাতে বেতন দেওয়া সত্যিই দুঃসাধ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এমত পরিস্থিতিতে সেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন কাটা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলেই আশঙ্কা করছেন পৌর কর্মচারী সংগঠনগুলো। কিন্তু যদি সেই কর্মচারীদের সত্যি সত্যি বেতন কাটা হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবেন কিভাবে চলবে তাদের সংসার!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের আশিস দত্ত বলেন, “রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি পৌরসভার বহু উন্নয়নমূলক কাজ থমকে আছে। নির্বাচিত বোর্ড থাকলে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন নিয়ে সমস্যা হত না। তাই পৌরসভাকে দ্রুত উন্নয়নমূলক কাজ এবং রাজস্ব আদায় নামতে হবে।” এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল সমর্থিত রাজ্য পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের রাজ্য সহ সম্পাদক সুব্রত সরকার বলেন, “রাজস্ব আদায়ের কাজ বাড়িয়ে পৌরসভার উচিত অস্থায়ী কর্মীদের বেতন সুনিশ্চিত করা। সামাজিক দূরত্ব ও সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৌরসভার উন্নয়নে রাজস্ব আদায়ের কাজের পরিধি যেমন করেই হোক বাড়াতে হবে।”

তবে সত্যিই কি এই সমস্ত অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রশাসক তথা মহকুমার শাসক শ্রীরাজেশ বলেন, “লকডাউনের জন্য পৌরসভার রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানো হচ্ছে‌। লকডাউনের মধ্যে সামাজিক বিধি মেনে কিভাবে পৌরসভায় রাজস্ব আদায়ের কাজ বাড়ানো যায়, রাজ্যের নির্দেশে তার জন্য আমরা একটি সেল গঠন করেছি।”

তবে মহকুমাশাসক যে কথাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে কিভাবে রাজস্বের এই বিপুল ঘাটতি সম্ভব হবে, তা নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছে সকলের মনেই। আর সেই চিন্তা পৌঁছে গিয়েছে অস্থায়ী কর্মচারীদের সংসারে। এখন এই অস্থায়ী কর্মচারীদের চিন্তা কমাতে রাজস্ব আদায়কে বৃদ্ধি করে তাদের পাশে দাঁড়াতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!