এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনে আয় তলানিতে! মমতার সরকারের কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা? ঘুম উড়েছে অর্থ দপ্তরের!

লকডাউনে আয় তলানিতে! মমতার সরকারের কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা? ঘুম উড়েছে অর্থ দপ্তরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনিতেই রাজ্যের কোষাগারের বেহাল অবস্থা বলে বিগত বাম সরকারকে দোষারোপ করে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। দলীয় সভা থেকেই হোক বা সরকারের বৈঠক, প্রায় সব জায়গা থেকেই “কেন্দ্র সাহায্য না করলে কিভাবে রাজ্য পরিচালনা করা যাবে!” তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লকডাউনের মধ্যে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি যে আরও ক্রমশ বিপদজনক হয়ে উঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনা ভাইরাসের কারণে এই লকডাউনের জন্য সমস্ত ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় তীব্র সমস্যায় পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

জানা গেছে, এপ্রিলে সরকারের ঘরে রাজস্ব জমা হয়েছিল মাত্র 975 কোটি টাকা। যেখানে প্রতি মাসে গড়ে এই রাজস্ব আসার কথা ছিল সাড়ে 17 হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথম মাসে 10 হাজার 400 কোটি টাকা ধার নিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বকেয়া ধার শোধ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কপালে যে অশনি সংকেত বইতে শুরু করেছে, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। কিভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, এখন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নবান্ন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন কর বাবদ জিএসটি খাতে এপ্রিল মাসে জমা পড়েছিল 237 কোটি টাকা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

জানা গেছে, সরকারের গড়ে প্রতি মাসে তিন হাজার কোটি টাকা করে রোজগার হয়। এদিকে জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে এপ্রিল মাসে সরকারের খাতে এসেছে 7.76 কোটি টাকা। অন্যান্য সময়ে 500 কোটির বেশি এই ক্ষেত্র থেকে রোজগার হয়। আর পেট্রোল ডিজেলের উপর প্রতিমাসে 600 কোটি টাকা আয় হলেও, এপ্রিল মাসে এসেছে মাত্র সাড়ে 42 কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই লকডাউনের কারণে সমস্ত কিছু বন্ধ থাকাতেই যে এই স্বল্প রোজগার হয়েছে রাজ্য সরকারের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কেন্দ্র তাদের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না এবং বিপদে সাহায্য করছে না। সেদিক থেকে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে কেন্দ্র আর্থিক সাহায্য করলেও, রাজ্য ব্যাপক অর্থ ধার নিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এখন তা শোধ করার অবস্থাতে নেই। তাই সেই অর্থ শোধ করে কিভাবে রাজ্যকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কপালে।

একাংশের মতে, যদি বর্তমানে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত অন্ধকার হয়ে আসছে। কেননা ভাড়ার যদি শূন্য হয়ে পড়ে, তাহলে লকডাউন অবস্থা থেকে উঠে কিভাবে রাজ্যকে পরিচালনা করা যাবে, তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের এই ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া উচিত এবং রাজ্য সরকারের সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কিভাবে রাজ্য এই বিপদসংকুল অবস্থান থেকে নিজেদেরকে উদ্ধার করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!