লকডাউনে শরীরে আলস্য লাগছে, কিছু ভাল লাগছে না? তবে পাঁচটি অভ্যাসে বদলে ফেলুন জীবন অন্যান্য July 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসের প্রকোপে স্কুল, কলেজ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আর তোমাদের স্কুলে বা হয়রানি করে ছুটতে ছুটতে কলেজের প্রথম ক্লাসে উপস্থিত থাকার কোনো তাড়া নেই। হঠাৎ পৃথিবীটা কেমন ধীর হয়ে গেছে। তবে এখন কী ভাবে সকালটা শুরু করছো বন্ধুরা? আলসেমি বাসা বাধছে শরীরে? সেটাই স্বাভাবিক। তবে এরকম হওয়া মোটেই ঠিক নয়। সুস্থ ভাবে দিন শুরু করতে হলে এবং জীবনে সাফল্য পেতে গেলে সকালে পাঁচটি অভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। জানতে চাও সেগুলো কী কী? তবে এক এক করে বলি — ১. সবসময় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরের দিন সকালে কী কী কাজ করবে তা ঠিক করে রাখো। এতে পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দিনটিকে তোমার নিজের কাছে মূল্যবান মনে হবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করে পারো। এতে শরীর-মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ২. সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্যাম বা শরীরচর্চা করো। মর্নিং ওয়াকে যাওয়া লকডাউনের জন্য সম্ভব না হলে বাড়ির ছাদে বা খোলা জায়গায় ফ্রী হ্যান্ড বা যোগ ব্যাম সেরে নাও। এতে শরীরের ক্লান্তি, আলস্যভাব দূর তো হবেই, তাছাড়া নানা রকম রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ৩. সকালে খালি পেটে প্রচুর জল খাও। এতে তোমার পেট পরিস্কার হবে। অর্ধেক রোগ এতেই প্রতিহত হয়ে যায়। একেই চারিদিকে করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা। সেখানে শরীরের নিজস্ব ইমিউনিটি বাড়ানো ভীষণ দরকারী। ৪. এর পর সকালেই ঠান্ডা জলে স্নান করো। এতে তোমার শরীর ফ্রেস হবে, দিনটিকে নতুন মনে হবে, মনে সূচিতা আসবে আর শারীরিক ভাবেও সুস্থ থাকবে। সারা দিনে গঠনমূলক কাজ করতে মনকে চালিত করতে পারবে। ৫. স্নান সেরে জলখাবার খেয়ে পড়তে বসো বা কিছুক্ষণ কোনো গান শোনো। এতে মনটা সারা দিনের বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মের জন্য প্রস্তুত হবে। এটাও একধরনের মেডিটেশন। তবে অবশ্যই সকালে কিছু না কিছু পড়ো। সেটা গল্পের বই হোক বা অন্য কিছু। এই পড়ার অভ্যাসটা দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য পেতে সবসময় সাহায্য করে। সকালে আমাদের মন অনেকটা স্থির থাকে। এই সময় কিছু পড়লে সেটা অনেক বেশি মনে থেকে যায়। সকালের এই পাঁচটি অভ্যাস সম্পূর্ণ বদলে দিতে পাড়ে তোমার জীবনকে। মনে রাখা দরকার, মানুষ যে অভ্যাস তৈরি করবে, সেই অভ্যাসই পড়ো মানুষকে তৈরি করতে সাহায্য করে। তাই বন্ধুরা, আর আলস্য নয়। এই লকডাউনের সময়টাকে গঠনমূলক কাজে ব্যাবহার যতো করবে, তুমি ততোটাই সাফল্যের দিকে এগোতে পারবে। আপনার মতামত জানান -