এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা আবহে ডকে উঠেছে পড়াশোনা? খুব সহজেই কিন্তু আপনার সন্তানকে ফেরাতে পারেন ছন্দে! জেনে নিন

করোনা আবহে ডকে উঠেছে পড়াশোনা? খুব সহজেই কিন্তু আপনার সন্তানকে ফেরাতে পারেন ছন্দে! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে সবই। এরইমধ্যে অক্টোবর মাসে নতুন আনলক প্রক্রিয়ার পঞ্চম ধাপ শুরু হওয়ার খবরে জানা গেছে দেশের একাধিক ক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে চলেছে। বিনোদন জগৎ থেকে শুরু করে পরিবহনব্যবস্থা সবেতেই আসতে চলেছে বড় রকমের পরিবর্তন। কিন্তু মার্চ মাস থেকে লকডাউনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। তবে নতুন আনলক প্রক্রিয়ায় সে নিয়ে আপাতত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে অনলাইনে শিক্ষাব্যবস্থা চললেও অনেক অভিভাবকই অভিযোগ করেছেন যে এতে তাদের সন্তানরা কোনভাবেই লাভবান হচ্ছে না।

বরঞ্চ সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাড়িতে থাকার ফলে বেশিরভাগ ছেলেমেয়েদের মধ্যে থেকেই পড়াশুনোর যে ধরাবাঁধা একটি ছক তা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন ঘরের মধ্যে আটকে থেকে পড়াশোনায় মন বসতেও চাইছে না তাদের। এমন পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীই আছে যাদের সামনে রয়েছে ফাইনাল এক্সামিনেশন, বোর্ডের পরীক্ষা। এমতাবস্থায় আপনার ছেলেমেয়ের পড়াশোনাকে আবার স্বাভাবিক ট্রাকে ফেরাতে বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন কিছু মতামত। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি।

এখন যতদিন না অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পড়াশুনো অনলাইনেই চলবে বলে মনে করছেন অনেকে। অনলাইনে শিশুরা পড়াশোনা করার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গেও যেন যোগাযোগ বজায় রাখার সুযোগ পায় সেটা দেখা দরকার। বস্তুত, এই মুহূর্তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম একটি বড় মাধ্যম। কিন্তু এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বেশি মাত্রায় অনলাইনে কাজ করা শিশুদের ব্যক্তিগত পরিসর, সুরক্ষাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে না দেয়। তাই অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েদের অনলাইন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে খোঁজখবরও রাখা প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া, আপনার সন্তানের স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার সন্তান যে স্কুলে পড়ে সেখানকার শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটাও প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে কোনো অসুবিধে হলে আলাদা করে জেনে নেওয়া যায়। এছাড়া নতুন নতুন পড়াশোনার উপায় ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে খোঁজ রাখতে পারেন। এবিষয়ে অনলাইনে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া এখন যেহেতু বাড়িতেই পড়াশোনা হচ্ছে তাই, শিক্ষক, বাবা-মায়েদের গ্রুপ এবং অন্যান্য গ্রুপে নানা প্রশ্ন করা বা অন্যদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে কাজ করলেও অনেক বেশি ভালো ভাবে কাজ করা যাবে।

পড়ার ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তার এক সঙ্গে একটি রুটিন তৈরি করে রাখতে পারেন। এতে আপনার সন্তানের জন্য একটা ধরাবাঁধা কাজ তৈরি থাকবে। এর মধ্যে পড়াশোন, খেলাধুলো থেকে শুরু করে ঘুমনোর সময় পর্যন্ত রাখুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অল্পবয়সীদের জন্য এরকম একটি কাঠামো খুব প্রয়োজন। এই রুটিনকে নিজের প্রতি দিনের গৃহকর্মের সঙ্গে যুক্ত করে নিলে, অনেক সিস্টেমেটিক ভাবে কাজ করা যায়। এছাড়া, নতুন এই পরিস্থিতিতে কিছু শেখাতে গেলে সময় নিন। তাড়াহুড়ো করে সব কিছু এক সঙ্গে শেখাতে যাবেন না। বরং ছোট ছোট লার্নিং মডিউল ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে অনলাইনের সঙ্গে কিছু অফলাইন কাজও রাখতে পারেন, তাতে কাজের মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে।

এছাড়া সন্তানদের সঙ্গে সবসময় অভিভাবকের মত আচরণ না করে, খোলা মনে কথা বলুন। সন্তানদের প্রশ্ন করতে শেখান। তাদের এমন ভাবে বড় করে তুলুন, যাতে তারা নিজেদের মনের কথা অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভয় না পায়। যেহেতু তারা ছোট, তাই তাদের মানসিক চাপ এবং অন্যান্য অনুভূতি প্রকাশের পথটা একটু অন্য রকমের হতে পারে। তাই আপনাকেই অনেকটা ধৈর্য নিয়ে বিষয়টি সামলাতে হবে। তবে এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আপনাদের সন্তানের মধ্যে কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে এই ধারণাটা তৈরি করা খুব প্রয়োজন। ফলে এই ধারণা একবার তৈরি করতে পারলে, তারা যখনই কোনও সমস্যায় পড়বে বা কোনও দ্বিধা হবে, যেন সরাসরি আপনার সঙ্গে এসে কথা বলতে পারে। এতেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!