লকডাউনে জীবিকা বাঁচাতে নতুন পথের সন্ধানে গৃহশিক্ষকরা! বদলে যাচ্ছে চিরাচরিত প্রথা! কলকাতা রাজ্য May 19, 2020 লকডাউনের জেরে আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ অফিস, স্কুল, কলেজ এমনকি প্রাইভেট টিউশন। এদিকে বহু মানুষের পেশা গৃহশিক্ষকতা। লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ এই গৃহশিক্ষকতা। এদিকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পড়াশোনা বন্ধ রাখা যেতে পারে না। তাই স্কুল ও কলেজ গুলিতে শুরু হয়েছে অনলাইন পড়ানোর ব্যবস্থা। বর্তমানে বহু গৃহশিক্ষকও এই অনলাইনে পড়ানোর পন্থাই বেছে নিয়েছেন। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের একটা বিরাট অংশের ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে এই অনলাইন ক্লাস থেকে। গ্রামাঞ্চলে এখনও বহু মানুষেরই স্মার্ট ফোন নেই। ফলত ওই অঞ্চলগুলোতে পড়াশোনা একদমই স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এক গৃহশিক্ষক বিশ্বজিৎ বাবু পড়ুয়া দের পড়ানোর জন্য বেছে নিয়েছেন এক নতুন পন্থা। জানা গেছে তিনি পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামের ধনকুড়ার বাসিন্দা। কিন্তু তিনি পরিবার সহ থাকেন বননবগ্রামে। গৃহ শিক্ষকতাই তাঁর পেশা বলে জানিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে দীর্ঘ দুমাস লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল পড়ানো। কিন্তু এবার তিনি সরকারি নিয়ম নীতি মেনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুরু করলেন পড়ানো। তবে বদ্ধ ঘরে যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না তাই পড়ানোর জন্য বিশ্বজিৎবাবু বেছে নিয়েছেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা মাঠ। জানা গেছে ধনকুড়া ও বননবগ্রাম মিলিয়ে তার ছাত্রছাত্রী সংখ্যা একশোর বেশি। সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই যাতে পড়ানো যায় তাই ওই দুই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খোলা মাঠে তিনি পড়ানো শুরু করেছেন। সূত্রের খবর তিনি এদিন জানিয়েছেন পড়াশোনা বন্ধ থাকার দরুন অভিভাবকরা বারবার জানাছিল বাচ্চারা বাড়িতেও পড়ার অভ্যাস করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াতে বেশ খুশি অভিভাবকরা। জানা গেছে মাঠে পড়াশোনা হওয়ার ফলে বেশ উৎসাহিত ক্ষুদে পড়ুয়ারাও। এদিন বিশ্বজিৎ বাবুর কথায়,” আমাদের এলাকায় অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষের বসবাস। অনেক পরিবারের স্মার্টফোন নেই। তারা অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তাছাড়া অভিভাবকরাও আমার কাছে বারবার নালিশ করছিলেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরা বাড়িতে পড়াশোনা করছে না, দুষ্টুমি করছে। তাই বিকল্প উপায়ে টিউশন শুরু করে দিয়েছি।” জানা গেছে এদিন তিনি জানান সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সাথে সাথে বাচ্চাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্যও বলা হচ্ছে যাতে কোনোভাবেই করোনা সংক্রমণ না হয়। আপনার মতামত জানান -