এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনে কার্যত ঘরে ঢুকে গেছে দল! আরও বড় ভাঙনের অপেক্ষায়? বাড়ছে জল্পনা

লকডাউনে কার্যত ঘরে ঢুকে গেছে দল! আরও বড় ভাঙনের অপেক্ষায়? বাড়ছে জল্পনা


বর্তমানে সিপিএম দলকে সেভাবে আর রাজ্যের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। একসময় রাজ্যের প্রথম সারিতে থাকা দল সিপিএমকে লোকসভা ভোটে সর্বনিম্ন স্থানে চলে যাওয়ার পর থেকে আর সেভাবে জনগণের সামনে দেখা যায় না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অন্যদিকে সম্প্রতি খবর, কলকাতা সিপিএমের অন্দরে লেগেছে ভাঙন। এবং এবার লকডাউনের ফলে কলকাতা জেলায় ত্রাণ বিলি নিয়ে দল কতটা কাজ করলো তাই নিয়েই শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

সিপিএম সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন এর কারণে বিভিন্ন রাজ্যের জেলায় জেলায় সিপিএমের বিভিন্ন কর্মীদের ত্রাণ বিলির কাজে নামতে দেখা দিয়েছে। কোথাও চাল-ডাল বিলি হয়েছে, কোথাও আবার বিলি হয়েছে স্যানিটাইজার, মাস্ক। কিন্তু কলকাতায় সামান্য কিছু জায়গা ছাড়া কোথাও সিপিএমকে সেইভাবে ত্রাণ বিলি করতে দেখা যায়নি। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই কারণেই সম্প্রতি লকডাউন এর মধ্যেও তড়িঘড়ি সিপিএমের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই যে মহানগরের শুধুমাত্র দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটা জায়গা বাদ দিয়ে কোন জায়গাতেই সিপিএম নিজস্ব কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি কেন? দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় রীতিমতো কমিউনিটি কিচেন থেকে শুরু করে বিনামূল্যে সবজি বাজার করতে পর্যন্ত দেখা গেছে সিপিএমের পৃষ্ঠপোষকতায়। সিপিএমের দলেরই দুই ভাগের মধ্যে উদারপন্থীদের বক্তব্য, এই সময় লঙ্গরখানা চালিয়ে কোনো কাজ হবে না। তাঁদের যুক্তি লঙ্গরখানার সাহায্যে ভোট বাক্সে ভোট বাড়ে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পাল্টা কট্টরপন্থীরা যুক্তি দেখিয়েছে, দেশের মহামারী সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যে যদি কেউ ভোটের হিসাব করতে চায় তাহলে তার থেকে আর লজ্জাজনক কিছুই নেই। অন্যদিকে সিপিএম সূত্রের ভেতরের খবর, যাঁরা কমিউনিটি কিচেন চালানোর দলের বিরোধী, তাঁরাই নাকি এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ময়দানে বক্তব্য রাখছেন। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতায় যে কমিউনিটি কিচেন খোলা হয়েছে সিপিএমের পক্ষ থেকে তা নাকি তৃণমূলের এক সাংসদের টাকায়।

সেখানে বেশ কিছু অভিনেত্রী এবং সঙ্গীত পরিচালকও টাকা দিয়েছেন বলেই সিপিএম দলের মধ্যেই অভিযোগ উঠছে। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, সিপিএমের অন্দরে বহু পুরনো একটি ঝামেলা রয়েছে। এবং কলকাতার সিপিএম ও আলিমুদ্দিন সিপিএম এর মধ্যে একটা বিভেদ আছে বরাবরই। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুযায়ী জেলা সম্মেলনেও এই বিভেদ দেখা দিয়েছিল। বলা যায়, সিপিএমের অন্দরে আড়াআড়ি এই বিভাজন রয়েছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সিপিএম প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় রাজ্যের করো না পরিস্থিতিকালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে সিপিএমের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে। কিন্তু তাই নিয়েও যদি দলের অন্দরে বিভেদ বিতর্ক চলতে শুরু হয়, মন কষাকষি শুরু হয়, তাহলে দলের একতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই দাবি করেছেন, ত্রাণ বিলি নিয়েও যদি দলাদলি চলে, ভোট বাক্সের হিসাব করা চলে, তাহলে দলের অবস্থা যে ক্রমশঃ নিম্নগামী হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!