রিলায়েন্স টেলিকম ইতিমধ্যে ভারতের একটা বিশাল নাম করেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসা বাড়াতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পা বাড়িয়েছে। ভারতের বাজারে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এই বৃহৎ পরিসর দেখে বিভিন্ন কোম্পানি এবার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বিশ্ববিখ্যাত মার্ক জুকারবার্গ এর ফেসবুকও রিলায়েন্স জিওর টেন পার্সেন্ট শেয়ার কিনে নিয়েছে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

আর এবার সূত্রের খবর, নতুন করে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এ বিনিয়োগ করতে চলেছে সৌদি আরবের সভারিন ওয়েলথ ফান্ড এবং আমেরিকার সংস্থা জেনারেল আটলান্টিক। জানা গেছে, সৌদি আরবের ওই পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মূল্য 32 হাজার কোটি ডলার। প্রথমদিকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ব্যবসা শুরু করেছিল তেল এবং পেট্রোপণ্য ঘিরে। ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা বাড়তে শুরু করে। পাল্লা দিয়ে বিনিয়োগও আসতে শুরু করে। জানা গেছে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জিওর কিছুটা শেয়ার কিনতে চাইছে সভারিন ওয়েলথ ফান্ড ও আমেরিকার বিনিয়োগ সংস্থা জেনারেল আটলান্টিক।

আমেরিকার বিনিয়োগ সংস্থা জেনারেল আটলান্টিক অতীতেও বড় বড় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে। এবার জিওর ক্ষেত্রে সাড়ে 8 কোটি থেকে সাড়ে 9 কোটি ডলার পর্যন্ত তারা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে। যদিও এখনো পর্যন্ত এই প্রসঙ্গটি শুধুমাত্র মুখের কথাতেই আটকে আছে এই বিনিয়োগ। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু এখনো ঘোষণা করা হয়নি। গত এপ্রিলে বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা ফেসবুক 570 কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে রিলায়েন্স ডিজিটাল ইউনিটের শেয়ার কিনে।

অন্যদিকে, সিলভার লেক পার্টনার্স ও ভিস্টা ইকুইটি পার্টনার্স ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তারা 225 কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে রিলায়েন্স জিওতে। বিভিন্ন কোম্পানি মনে করছে ভারতে খুব শীঘ্রই রিলায়েন্স জিও বৃহত্তর বাজার তৈরি করবে। যেখানে অ্যামাজন ডট কম ইনকর্পোরেটেড, ওয়ালমার্ট ইনকর্পোরেটেড এবং আলফাবেট ইনকর্পোরেটেডের এর উপস্থিতি রয়েছে সেখানে সমানে সমানে টক্কর দিতে এবার আসরে নামছে রিলায়েন্স জিও। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থা এবং প্রাইভেট ইকুইটি ফান্ড যে হারে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে বিনিয়োগ করছে, তাতে রিলায়েন্সের দেনা অনেকটাই কমে যাবে।

অন্যদিকে পরবর্তী সময়ে রিলায়েন্স জিওর দাম যে আকাশ ছোঁয়া হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে রিলায়েন্স জিও আসার পর থেকে মার্কেটে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই তাঁদের গ্রাহককে খুশি করার জন্য নিজেদের মান ক্রমাগত বাড়াচ্ছে। এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই গ্রাহকরা উৎকৃষ্ট মানের পণ্য পাবেন এবং উৎকৃষ্ট পরিকাঠামোর দ্বারা যথেষ্ট সুবিধা পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ব্যবসাদারদের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে রিলায়েন্স জিও মনোপলি মার্কেট সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এই ধারণাকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।