এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনেও যেন থেমে না থাকে শিক্ষার আলো! ফিজ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলেজগুলি

লকডাউনেও যেন থেমে না থাকে শিক্ষার আলো! ফিজ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলেজগুলি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহকালের প্রারম্ভেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। তিনটি পরীক্ষা বাকি থাকতেই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে তিনটি পরীক্ষা না নিয়ে শুধুমাত্র অন্যান্য পরীক্ষাগুলির উপর মূল্যায়নের ভিত্তিতে সম্প্রতি বেরোয় উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। আর এবার ছাত্র-ছাত্রীদের দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে। রাজ্যের কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে আগামী 10 ই আগস্ট থেকে।

সাধারণত কলেজে ভর্তি হতে গেলে দিতে হয় মোটা টাকা কোথাও ফর্মের দাম হিসাবে, কোথাও অ্যাডমিশন ফি হিসাবে, কোথাও সেশন ফি হিসাবে। কিন্তু লকডাউনের কারণে প্রত্যেকের ঘরে এই মুহূর্তে টাকা পয়সার ঘাটতি দেখা গেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই শিক্ষার্থীদের চিন্তা বেড়ে গেছে দ্বিগুণহারে। প্রশ্নচিহ্ন উঠছে তাঁদের আগামী ভবিষ্যত নিয়ে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চিন্তা কমাতে এবার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্যের কলেজগুলি। কোথাও ভর্তির ক্ষেত্রে অ্যাডমিশন ফি 35 থেকে 50% কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও ভর্তির ফর্মের দাম কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দূরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হোস্টেল খরচ মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কলেজে ভর্তি হলেও সবাই এই মুহূর্তে স্বাভাবিকভাবে যে ক্লাস করতে পারবেনা সে কথা স্পষ্ট। প্রত্যেককেই হয়তো ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের সাহায্য নিতে হবে। এই অবস্থায় ইতিমধ্যেই বাগবাজার উইমেন্স কলেজ তাঁদের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ফ্রি কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই ওই কলেজের অধ্যক্ষা মহুয়া দাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে অ্যাডমিশন ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সাধারণ বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে 35% এবং ল্যাবরেটরি ব্যবহার করতে হবে সেরকম বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে 40 থেকে 50% ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্নাতকোত্তর স্তরেও ভর্তির জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে 25%। একইভাবে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ কমিয়ে দিয়েছে তাঁদের কলেজে ভর্তির ফর্মের দাম। এমনকি দূর থেকে এসে যেসব ছাত্রীরা ক্লাস করার জন্য হোস্টেলে থাকবে, তাঁদের হোস্টেল ফিও মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, আগামী দিনের পড়ুয়াদের সেশন চার্জ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হোক এবং টিউশন ফি এই মুহূর্তে যেন না নেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কশান মানি ভর্তির সময় না নিয়ে পরবর্তীতে ভাগে ভাগে নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৌলানা আজাদ কলেজ এর অধ্যক্ষ শুভাশীষ দত্ত জানিয়েছেন, তাদের কলেজ ইতিমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আয়-ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে সরকারকে। কিন্তু তার বাইরেও তাদের এক্তিয়ারভুক্ত যেসব অংশ রয়েছে সেখানে ফি কমিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। একইসঙ্গে বেহালা বিবেকানন্দ উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, কলেজে ভর্তির সময় এবার শিক্ষার্থীদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না।

কারণ এই মুহূর্তে কলেজে ক্লাস চলছেনা। তাই ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে সেগুলো নেওয়া হবে। এমনকি অতিথি শিক্ষকদের বেতনের অর্থ নেওয়া হতো পড়ুয়াদের কাছ থেকে। এবার জানানো হয়েছে সেটাও নেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজে ইতিমধ্যেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ভর্তির ফর্মের দাম। সেমিস্টারের জন্য যে টাকা নেওয়া হতো তার থেকে 25 শতাংশ কম টাকা নেওয়া হচ্ছে ভৈরব গাঙ্গুলী কলেজের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে শুধু তাই নয়, ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ভর্তির ফি ছাত্রছাত্রীরা যাতে দুটি সেমেস্টারে দিতে পারেন সে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। অন্যদিকে ল্যাবরেটরি ফি, সাইকেল স্ট্যান্ড ফির মতন কোন চার্জ এখন বর্তমানে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।

তবে অধ্যক্ষ অধ্যক্ষাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, এভাবে যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ফি কমিয়ে দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে স্বাভাবিক অবস্থায় তাঁদের নিয়মিত কলেজের ফি মেটাতে অনীহা দেখা দিতে পারে। তবে লকডাউন চলাকালীন বিভিন্ন কলেজের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীরা যে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা স্বস্তি পেল, সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সবাই। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই যেভাবে বিভিন্ন কলেজ তাঁদের বেতন বিভিন্ন ভাবে কমিয়ে দিচ্ছে, তা যথেষ্ট প্রশংসাজনক। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বলবেন, তাঁদের সুবিধার কথা। আপাতত ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা চলছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!