এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনের বড় প্রভাব? এবার কাজ হারাতে চলেছেন এই সরকারি কর্মীরা? চারিদিকে তীব্র হচ্ছে গুঞ্জন!

লকডাউনের বড় প্রভাব? এবার কাজ হারাতে চলেছেন এই সরকারি কর্মীরা? চারিদিকে তীব্র হচ্ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের শুরু থেকেই একটি অন্যতম বিতর্কিত বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে রেল। সম্প্রতি রেলকে বেসরকারিকরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তুমুল বিতর্ক চলছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি ছিল, রেল পরিষেবার খাতে সরকারি কোষাগারে কোন মুনাফা আসছেনা বরং খরচের বহর বেড়ে যাচ্ছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার রেল কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে যদিও রেল ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রচুর আন্দোলন চলছে। কিন্তু তা সত্বেও রেল যে কোনোকিছুই শুনবে না সে ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

অবসরের আগেই রেল এবার ছাঁটাই করতে শুরু করেছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য দুটি বিষয় নজরে রাখা হচ্ছে- যাদের 55 বছরের বেশি বয়স অথবা যাদের 30 বছরের কর্মজীবন কাটানো হয়ে গেছে, তাঁরাই প্রথম বসে যাবেন কর্মজীবন ছেড়ে। তবে আন্দোলনের মুখে পড়ে পদ্ধতিগত কিছু বদল এনে কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করেছে রেল। ইতিমধ্যে রাজস্থানের কোটা ডিভিশনে ছাঁটাই পর্ব শুরু হয়ে গেছে। রাজস্থান থেকে শুরু হলেও সর্বত্র এবার ছাঁটাই কর্মসূচি চলবে বলে জানানো হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে।

বৃহস্পতিবার কোটা রেলের ওয়ার্কশপের বিভাগের এক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। জানুয়ারিতেই তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। মার্চ মাসে তিনি রিভিউ কমিটির কাছে আপিল করেন, কিন্তু আপিল অনুপযুক্ত জানিয়ে দেয় রিভিউ কমিটি। আর তাই বৃহস্পতিবার তাঁকে সরানোর নির্দেশ আসে উপরমহল থেকে। নির্ধারিত আরো বেশ কয়েকজনকে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেককেই তিন মাসের নোটিশ দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে অবশ্য কোটায় তিনজনকে চার্জশিট ইস্যু করে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা নিয়ম অগ্রাহ্য করে লাগাতার ছুটি নিয়েছেন। রেল আগেই জানিয়েছিল, প্রায় 3 লক্ষ কর্মী এবার ছাঁটাই হবে। অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও একইভাবে ছাঁটাই চলবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জানা গেছে, প্রথম স্তরে রেল সুপারভাইজারদের ওপর দায়িত্ব পড়েছে তাঁদের আন্ডারে থাকা রেল কর্মীদের কাজকর্মের তথ্য সংগ্রহ করে দাখিল করতে হবে ওপর মহলে।

যারা নিয়ম না মেনে একের পর এক ছুটি নিয়ে চলেছেন এতদিন ধরে, তাঁদের সবার আগে বের করে দেওয়া হবে, রেলের পক্ষ থেকে বলে জানা গেছে। এরপর বাৎসরিক গোপন রিপোর্ট যদি ভাল বা খুব ভাল না থাকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মীদের ছাঁটাই হবে। অন্যদিকে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের চাপে এখন পশ্চিমবঙ্গে ছাঁটাই পর্ব বন্ধ থাকলেও যে কোন মুহূর্তে এই ছাঁটাই কার্যকর হতে পারে। একে তো বেসরকারিকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আগেই।

কিন্তু এবার যেভাবে ছাঁটাই পর্ব শুরু হয়েছে রেলে, তা নিয়ে একের পর এক বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার সব মহল থেকেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষরা। রেল কর্মচারীরাও সরকারের এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নেমেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই কাজ কম। সেই অবস্থায় এতদিন পর্যন্ত নিশ্চিত চাকরি ছেড়ে অনিশ্চিত পথে চলার ব্যাপারটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!