এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনের জেরে এবার ভবিষ্যৎ অন্ধকার শিক্ষার্থীদের! পিছিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাবর্ষ!

লকডাউনের জেরে এবার ভবিষ্যৎ অন্ধকার শিক্ষার্থীদের! পিছিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাবর্ষ!


একটা লকডাউন করোনা ভাইরাসকে হয়ত বা আটকে দেবে। কিন্তু একটা লকডাউন পিছিয়ে দেবে অর্থবর্ষ থেকে শিক্ষাবর্ষকে? প্রথমে এটা শুনে অনেকে আঁতকে উঠলেও যে দিন আসছে, তাতে এরকম কিছুই হতে চলেছে ভারতবর্ষে। ইতিমধ্যেই লকডাউনের ফলে অর্থবর্ষ তিন মাস পিছিয়ে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। আর এবার শিক্ষাবর্ষ পেছানোর ব্যাপারেও তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে এই ব্যাপারে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হচ্ছে।

আর যদি সমগ্র আলোচনার পরে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটিতে সীলমোহর দেয় সকলে, তাহলে ভারতবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনেকটাই চাপের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই পরিস্থিতিতে কিছু করার নেই কারোর কাছেই। কেননা একটা লকডাউনের পরে রীতিমতো ভারতবর্ষের অর্থনীতি যেমন ভেঙে পড়বে, ঠিক তেমনই ভেঙে পড়বে সব ব্যবস্থা। তাই এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা? এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীব বসু বলেন, “এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা একাডেমিক কাউন্সিলের। কিন্তু লকডাউনের জেরে এসবই বন্ধ। তবে বৃহস্পতিবার একটা অনলাইন বৈঠকে সমিতির কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটা আমরা উপাচার্যের কাছে চিঠি লিখে পাঠাচ্ছি। সিলেবাসের কাটছাঁটের প্রস্তাব উঠে এসেছে। দু’টি সেমিস্টার জুড়ে দেওয়া এবং পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। অনলাইন কোর্স চালু রেখে পঠন-পাঠনের কথা বলা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ছাত্রছাত্রী ইন্টারনেটের সুবিধা পায় না। অনেক প্রবীণ শিক্ষকও এতে সাবলীল নয়। তাই লকডাউনের সময়টাও নষ্ট হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “লকডাউনে পঠন-পাঠনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু যেদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, সেদিন থেকে হিসাবটা করতে হবে‌। আগে 30 মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ছিল। এখন সেটা বেড়ে 14 এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে। সেটা যে আরও বাড়বে না, তা আগাম বলা যাচ্ছে না।” একই কথা বলেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। তবে শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে গেলে স্কুল শিক্ষায় যে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তা নিয়ে চিন্তার কথা শোনা গেছে অনেকের গলায়।

পৃথিবী প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, “এখন গরিবের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই অগ্রাধিকার। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম সামেটিভ হয়। সেটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়টির সঙ্গে জুড়ে দিলেই সমস্যা মিটবে। তবে সেই অনুযায়ী সিলেবাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। গ্রীষ্মের ছুটি ক্যালেন্ডার মাফিক ঘোষণা না করে জরুরি প্রয়োজনে দেওয়ার জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন জানাব। তবে 14 এপ্রিলের বেশি লকডাউন না বাড়লে, শিক্ষাবর্ষে পেছানোর প্রয়োজন নাও করতে পারে।” তবে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স এন্ড হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!