লকডাউনের মাঝেই রাজ্যের অবস্থা শিথিলের ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর, বিতর্ক চরমে কলকাতা রাজ্য March 31, 2020July 26, 2021 সারাবিশ্বে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একের পর এক দেশ করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু শিবিরে পরিণত হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারতেও করোনা হানা দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে ইতিমধ্যে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম। লকডাউনের অনেক আগেই করোনা আতঙ্কে রাজ্যের স্কুল-কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির সামান্যতম উন্নতি হয়নি। ক্রমশ করোনার সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে এ রাজ্যে। ফলস্বরূপ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত সিদ্ধান্ত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া বাদবাকি সমস্ত দোকান বন্ধ। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা চৈত্র সেল এর মার্কেট হারানোর আশঙ্কায় ভুগছে বলে খবর। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাসবাণী দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, 15 এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকলেও এতটা কড়াকড়ি থাকবে কিনা রাজ্যে সে ব্যাপারে তিনি 31 শে মার্চ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক করবেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনাকে ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দেশজুড়ে চলছে এই লকডাউন। থাকবে আগামী 14 ই এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে অতি প্রয়োজনীয় দোকানগুলিকে। ব্যবসার মধ্যে শুধুমাত্র মুদিখানার দোকান, সবজি বাজারের দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে বলে সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে। তবে 15 ই এপ্রিল বাংলায় নতুন বছর শুরু। প্রতিবছর বাঙালিরা পয়লা বৈশাখকে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত প্রস্তুতি ঘরবন্দি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, ‘কিছু ছাড় দেব। সেটা ৩১ তারিখ পর্যালোচনা করে স্থির করব। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন। এর মধ্যে পয়লা বৈশাখও পড়বে। পঞ্জাবেরও নতুন বছর আছে। পরে বিবেচনা করে জানাব, কী কী ছাড় দেব।’ তবে 21 দিনের লকডাউন পরিস্থিতিতে খাদ্যশস্যের কোন অভাব হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’21 দিন হয়ে গেল খাবার পাব না, এমনটা ভাববেন না। একমাসের রেশন একবারে দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের কেউ দেখার জন্য নেই ভাববেন না।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বারংবার করোনাভাইরাসকে আটকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে তিনি ছবি এঁকেও বুঝিয়েছেন দোকানের সামগ্রী কিনতে গিয়ে কিভাবে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী উদাহরণস্বরূপ বলেন, ‘আমরা আগে খেলতাম না এক্কা, দোক্কা। ঠিক তেমন ভাবেই দাঁড়াতে হবে দোকানের বাইরে।’ অন্যদিকে, ভারতে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে 680 ছুঁয়েছে সংক্রামিতর হার। সারাদেশে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে 16। অন্যদিকে রাজ্যের পরিস্থিতিও তথৈবচ। 11 জন সংক্রামিতর মধ্যে একজন সম্প্রতি আমরি হাসপাতালে মারা গেছেন। এই পরিস্থিতে মুখ্যমন্ত্রীর লকডাউন শিথিলের ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজনৈতিক বিষেষজ্ঞদের মতে, করোনাকে গুরুত্ব না দিয়ে যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসাকে গুরুত্ব দেন, তাহলে মানুষেরই ক্ষতি হবে। ইতিমধ্যে, করোনা সংক্রমণকে ব্যাপকহারে ছড়ানো রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত সিদ্ধান্তে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের দাবি, একমাত্র সচেতনতাই করোনার হাত থেকে মুক্তি দেবে। তাই এই মুহূর্তে সমগ্র দেশজুড়ে চলছে সচেতনতার পাঠ পড়ানোর। আপনার মতামত জানান -