লকডাউনের মাঝেই বড়সড় সুখবর শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য! বদলি-বেতন নিয়ে আদালতের বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য হাওড়া-হুগলি June 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার আগেই দেশজুড়ে তথা রাজ্যজুড়ে সমস্ত স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় দেশজুড়ে লকডাউন। সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েন গৃহবন্দী। এর মাঝেই অনেকেই তাঁদের চাকরি হারান বলে জানা গেছে। কিন্তু এই অবস্থায় হাওড়ার একটি স্কুল নিয়েছে অত্যন্ত অমানবিক একটি পদক্ষেপ। যা নিয়ে আলোচনা চলছে শিক্ষক মহলে বলে খবর। জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যেই হাওড়ার সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত একটি স্কুল তাঁদের চার স্কুল শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের বদলির নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্কুল কর্তৃপক্ষ বনাম শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের লড়াইয়ের জের শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত এগিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আদালতে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। এদিন হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চ থেকে এই মামলার শুনানি হিসাবে বলা হয়, হাওড়ার উক্ত স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের বেতন যত শীঘ্র সম্ভব মিটিয়ে দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি তাঁদের বদলি রদ করতে হবে। বিচারক সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই মামলা প্রসঙ্গে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আইনজীবী এক্রামুল বারি আদালতে জানিয়েছেন, যে সময় লকডাউন চলছে সারা দেশজুড়ে- সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ, অফিস-আদালত ও এখনো সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক নয়- সেই অবস্থায় গত চৌঠা জুন উক্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। উপরন্তু তাঁদের বকেয়া মাইনে রদ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট প্রথমেই শিক্ষকদের বদলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু লকডাউন যেহেতু চলছিল এবং আদালত বন্ধ ছিল তাই শুনানি হতে কিছুটা দেরি হল। আপাতত জানা গেছে, আগামী 30 সেপ্টেম্বরের পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে। এবং এই সময়ের মধ্যে দুই পক্ষকেই ফলকনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই বদলি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাওড়ার উক্ত স্কুলের স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ জমা হয়েছে বলে খবর। বদলির নির্দেশ নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের মতে স্কুল পরিচালন কমিটি অত্যন্ত অবিবেচক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমত লকডাউনের কারণে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার ফলে তাঁদের জীবন ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার ওপরে দুদিনের সময় হাতে দিয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই নির্দেশ কার্যকর হতে গেলে পরিস্থিতি কি চলছে তা দেখার প্রয়োজন বোধ করেনা স্কুল কতৃপক্ষ বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে আদালতের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া এই সাত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের হাতে আর কোনো রাস্তা ছিলনা। তবে এবার দেখার, স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালতের এই নির্দেশনামা মেনে নিয়ে কিভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেয়। আপনার মতামত জানান -