প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভুয়ো খবরকে কেন্দ্র করে প্রায়ই শোনা যায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিভিন্ন রকম অশান্তির খবর ছড়িয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমের খবর থেকে। তাই নিয়ে প্রশাসন ব্যবস্থাও নিয়েছে। কিন্তু তবুও ভুয়ো খবর বন্ধ হবার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এখনো পর্যন্ত। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুর্গাপুজো নিয়ে একটি মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় রাজ্যবাসীর মধ্যে। যদিও ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই এই মেসেজটি চোখে পড়ে প্রশাসনের এবং ব্যবস্থা নেওয়া হয় সত্ত্বর।

সাইবার ক্রাইমের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় মেসেজ কর্তারা। সম্প্রতি একটি পোষ্ট নজরে আসে সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে বলা হয়, দুর্গাপূজা এবার কিছু বিধি মেনে হবে করোনা পরিস্থিতিতে। এবার কোনরকম সান্ধ্য ঠাকুর দেখার প্রোগ্রাম হবেনা কারণ সেসময় চলবে নাইট কারফিউ। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া যাবেনা ফুল দিয়ে, সিঁদুর খেলা হবে না, এরকমই হরেক নিয়ম। এবং এই পোষ্টটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই জানা যায়, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো নিয়মাবলী প্রকাশিত হয়নি।

কিন্তু এই ভুয়ো মেসেজটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষ থেকে পুজো উদ্যোক্তা প্রত্যেককেই আলোচনা শুরু করেন। ভুল মেসেজ কে ছড়িয়েছে তার খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ঘোলা এবং বরানগর থেকে দুই যুবক। আপাতদৃষ্টিতে ঘনাটি এখানে মিটে গেছে মনে হলেও তা কিন্তু হয়নি। শুক্রবার সারাদিন ছিল লকডাউন। কিন্তু লকডাউন এর নিয়ম উপেক্ষা করেই বরানগরের যুবকের বাড়ির সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখান এলাকার তৃণমূল নেতারা।

আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বলা হয় বিজেপির থেকে উৎসাহিত হয়ে টাকা নিয়ে এ ধরনের ভুয়ো মেসেজ ছড়িয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার কাজ হচ্ছে। জদিও ঐ যুবকের বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ ধরনের ভুয়ো মেসেজ নিয়ে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এবং পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তদন্তের। বিশেষজ্ঞদের মতে পুলিশ তাঁদের কাজ করে ফেলেছে দোষীদেরর গ্রেপ্তার করে।

তা সত্বেও লকডাউন এর নিয়ম উপেক্ষা করে করোনাবিধি ভঙ্গ করে একযোগে বিক্ষোভ দেখানোর ফলে প্রশাসকই নিয়ম ভঙ্গ করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ে জল্পনাও তুঙ্গে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবির থেকে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনার সাথে তাঁদের কোনো যোগাযোগ নেই বলে তাঁরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে জানা গেছে, দুর্গাপূজা নিয়ে এখনো সরকারিভাবে কোনো রকম আলোচনা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি দেখেই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।