এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লকডাউনকালে সরকারী নির্দেশ মানতে শিক্ষকেরা ব্যস্ত অন্য সরকারী কাজে, আশংকা পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে

লকডাউনকালে সরকারী নির্দেশ মানতে শিক্ষকেরা ব্যস্ত অন্য সরকারী কাজে, আশংকা পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ করোনাকাল চলার দরুণ পড়াশোনা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘরে থেকেই এখন অনলাইন ক্লাস করতে হচ্ছে প্রায় সব পড়ুয়াকে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে ছবিটি পুরো অন্যরকম। সেখানে অফলাইন তো দূরের কথা, অনলাইন ক্লাস হবারও কোনো পরিকল্পনাই নেই। পাশাপাশি পুরসভার শিক্ষকদের এখন বিভিন্ন কাজে লাগানো হচ্ছে। যার ফলে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে কোনরকম যোগাযোগ নেই। ফলে যে খুদেরা একসময় বইপত্র নিয়ে স্কুলের চৌকাট পেরোত, তারাই আজ স্কুল জীবনের থেকে যোজন দূরে চলে গিয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ রীতিমতো প্রশ্নের মুখে বলেই মনে করছেন শিক্ষাবিদেরা।

জানা গিয়েছে, গত বছর পুরসভার শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, গত সেপ্টেম্বর থেকে মিড ডে মিল দেওয়ার সময় প্রত্যেক শিক্ষকরা অভিভাবকের হাতে একটি করে ওয়ার্কশীট তুলে দেবেন। যেখানে পড়ুয়ারা উত্তর সম্পন্ন করে আবার অভিভাবকদের মাধ্যমে স্কুলে জমা করবে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই ওয়ার্কশীট পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়েছিল। কিন্তু একমাস পরেই অর্থাৎ অক্টোবরে এই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বন্ধ হয়ে যায় পুরসভার নির্দেশে বলে জানা গিয়েছে।

ফলস্বরূপ, বর্তমানে পঠন-পাঠন থেকে সম্পূর্ণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে পড়ুয়ারা। দক্ষিণ কলকাতার একটি পুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকের মতে, গত এক বছর ধরে শিক্ষকরা সরকারি বিভিন্ন কাজে নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন সরকারী নির্দেশে। শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষাদানের সঙ্গে তাঁদের এই মুহূর্তে আর কোন যোগাযোগ নেই। অথচ ওয়ার্কশীট প্রদান যেহেতু বন্ধ সে কারণে অভিভাবকরা বারবার অভিযোগ করছেন ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা থেকে সরে গিয়েছে বলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার ফলেই পুরসভার শিক্ষকেরা আশঙ্কা করছেন পরবর্তী সময়ে স্কুলছুটের সংখ্যা আবার বেড়ে যাবে। জানা গিয়েছে, শহরে পুরসভা পরিচালিত 272 টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যার মধ্যে 58 টি হিন্দি মাধ্যম স্কুল। ঐ হিন্দি মাধ্যম স্কুলগুলির পড়ুয়ারা বেশিরভাগ উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বসবাসকারী। অতিমারীর সময়ে এরা প্রত্যেকেই নিজেদের দেশে ফিরে গিয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁরা আবার কলকাতায় ফিরবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। অন্যদিকে পুর প্রাথমিক স্কুলগুলোতে কিন্তু নিয়মিত মিড-ডে-মিল দেওয়া চলছে।

আপাতত পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলকাতা পৌরসভার শিক্ষা দপ্তরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের অন্যান্য কাজে লাগানো হয়েছে। তবে ওয়ার্কশীট বন্ধের কারণ নিয়ে কোনো উত্তর দেননি তিনি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে যখন নতুন করে আবার শুরু হবে স্কুল, তখন অবশ্যম্ভাবী পুরনো স্কুলপড়ুয়াদের কতটা ফেরত পাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। একইসাথে পুর প্রাথমিকের 6 হাজার পড়ুয়া এবং প্রায় 600 জন শিক্ষককে নিয়ে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এখন সে দিকেই থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!