এবার ত্রাণ বিলি করতে যেতেই লকেট চ্যাটার্জিকে আটকালো পুলিশ! বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল বারুইপুর কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 29, 2020 বিপদের দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই নেতা-নেত্রীদের কাজ। সেদিক থেকে একদিকে করোনা পরিস্থিতি এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানকে সামলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত দলের জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু এবার ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধাদানের অভিযোগ তুললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ভয়াবহ দূর্যোগে বর্তমানে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সেদিন সুন্দরবন যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। অভিযোগ, প্রথমে ক্যানিংয়ের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আটকানো হয়। তারপর পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ বাক-বিতণ্ডার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, বারুইপুরের রাস্তা ধরে তিনি এগোনো মাত্রই তাকে ফের আটকে দেয় পুলিশ। আর এরপর এই তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। কেন তাকে এভাবে আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বারুইপুরের যে রাস্তায় তাকে আটকানো হয়েছে, সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রীতিমত প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে দেন লকেটদেবী। পরবর্তীতে অবশ্য দুই ঘন্টা পর বারুইপুরের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান এই বিজেপি সাংসদ। এদিন তৃণমূল ও রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাকে আটকানোর অভিযোগ তোলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার বেছে বেছে ত্রাণ দিচ্ছে। তাই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গায়ের জোরে আমাকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাজনীতি করার উদ্দেশ্যেই এমনটা করছে তৃণমূল সরকার।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়। কিছুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ দুর্গত মানুষদের পাশে দাড়ানোর উদ্যোগ নিলে, তাকেও পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হুলুস্থুল বেজে যায়। আর এবার দিলীপবাবুর পর বিজেপির আরেক সংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ নেতাকর্মীরা, এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ যখন বিজেপি প্রকৃত দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখন তাদের জনপ্রতিনিধিদের পরিকল্পনামাফিক আটকে দিচ্ছে তৃণমূল ও তাদের প্রশাসন। যাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহল। সব মিলিয়ে এবার দিলীপ ঘোষের পর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ত্রাণ দিতে গিয়ে বাধা পাওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন। আপনার মতামত জানান -