এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভার পর বিধানসভাতে একেবারে খালি হাতে বাম শিবির! কি বক্তব্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের?

লোকসভার পর বিধানসভাতে একেবারে খালি হাতে বাম শিবির! কি বক্তব্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে দুরমুশ হয়ে গেল বাম শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনেও শূন্য হাতে ফিরেছিল বাম শিবির, বিধানসভা নির্বাচনেও পরিস্থিতির কোন উন্নতিই ঘটে নি। কংগ্রেস, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোট করেও হাত খালি বাম শিবিরের। শোচনীয় পরাজয়ের পর এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

বর্ষিয়ান বামপন্থী রাজনীতিবিদ বিমান বসু জানালেন, এবার তৃণমূল- বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তির কাছে দায়িত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেল। তিনি জানালেন, এই ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখে আরএসএস, সংঘ পরিবারকে ব্যবহার করে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হতে হাজার হাজার, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেশকিছু হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় দাপিয়ে বেরিয়েছিল বিজেপি। এরপরও বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে বিজেপি বাংলার সমাজ ধারায় একটি স্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছে, যার পরিণতিতে ভবিষ্যতে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষতি হতে পারে। তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ পেয়েছে। নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। সংযুক্ত মোর্চা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেনি। কেন মোর্চার এরকম পরাজয় ঘটল? তা পরবর্তী সময়ে সংযুক্ত মোর্চার সমস্ত শরিক নিজ নিজ দলের সঙ্গে আলোচনা করে, যৌথ পর্যালোচনা করে, কারণ অনুসন্ধান করবেন। সেই অনুযায়ী, তাঁরা শিক্ষা গ্রহণ করবেন। কিন্তু ফলাফল দেখে প্রাথমিকভাবে হয়তো এ কথা বলা যেতে পারে যে, বিজেপিকে হারাবার জন্য জনগণের তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকে লাভ হয়েছে তৃণমূলের।

বিমান বসু আরও জানালেন, নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ভূমিকা পালন করেছেন যে সমস্ত কর্মীরা তাঁদের তিনি অভিনন্দন জানাচ্ছেন। রাজ্যের সর্বত্র শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান তিনি। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মোর্চাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করতে হবে। সংবিধানের বিধি রক্ষা করা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করা, ধর্মনিরপেক্ষতাকে রক্ষা করা, শ্রমজীবী মানুষের রুটি রুজির লড়াইকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী করার দায়িত্ব পালন করতে হবে সংযুক্ত মোর্চাকে।

তবে বাম শিবিরের এই ফলাফল সম্পর্কে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য জানালেন, ইতিপূর্বে লোকসভা নির্বাচনে বামেরা শুন্য হয়ে গিয়েছিল। সেই দায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেয় নি। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও বাম শূন্য হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্যই এটা হয়েছে, এর দায় তাঁদেরকেই নিতে হবে। এই পরাজয়ের জন্য বাম প্রার্থী বা কর্মীরা কোনভাবেই দায়ী নন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!