এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লকডাউনে বড়সড় রেকর্ড নরেন্দ্র মোদীর! ছাপিয়ে গেলেন বাজপেয়ীকেও! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে

লকডাউনে বড়সড় রেকর্ড নরেন্দ্র মোদীর! ছাপিয়ে গেলেন বাজপেয়ীকেও! খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দেশের সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমনের ভয়াবহ আবহাওয়ার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি বিরাট রেকর্ড গড়লেন। আজ ১৩ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক দু’দিন আগে অধিক সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ডে চতুর্থ স্থান অধিকার করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

প্রসঙ্গত, ভারতের মসনদে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড যারা করেছেন তাঁদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আছেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু। তার পরবর্তী স্থানে আছেন ইন্দিরা গান্ধী। আর তৃতীয় স্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী মনমনসিং। তবে লক্ষণীয় এঁরা সকলেই কিন্তু কংগ্রেসি রাজনীতিবিদ। অন্যদিকে দেশের অকংগ্রেসী রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে অধিক সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চতুর্থ স্থান অধিকারী অটলবিহারী বাজপেয়ী।তবে আজ অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের মসনদে থাকার অটলবিহারীর রেকর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।

প্রসঙ্গত গত ২০১৪ সালের ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি দ্বিতীয়বার শপথ নিলেন কত ২০১৯ সালের ৩০ শে মে। ভারতের প্রধান প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর ক্ষমতায় ছিলেন ১৭ বছর। তাঁর মৃত্যুর পর তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী দু’দফাতে মোট ১১ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। এরপর ইউপিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দু দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দেশের অকংগ্রেসী প্রধান মন্ত্রীদের মধ্যে অনেকেই প্রধানমন্ত্রীত্বের ক্ষমতার পুরো মেয়াদ পার করতে পারেননি। যেমন জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই ক্ষমতায় ছিলেন হাজার ১৯৭৭ সালের ২৪ মার্চ থেকে হাজার ১৯৭৯ সালের ২৮ সে জুলাই পর্যন্ত সময়ে। এরপর প্রধানমন্ত্রী মোরাজ্জী দেশাই মসনদে ছিলেন ১৯৭৭ সালের ২৪ সে মার্চ থেকে ১৯৭৯ সালের ২৮ সে জুলাই পর্যন্ত সময়কালে। প্রধানমন্ত্রী চরণ সিং ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৭৯ সালের ২৮ জুলাই থেকে শুরু করে ১৯৮০ সালের ১৪ই জানুয়ারি সময় পর্যন্ত।তারপরে জনতা দলনেতা বিশ্বনাথপ্রতাপ সিং কুর্সিতে অধিষ্ঠিত ছিলেন ১৯৮৯ সালের ২ রা ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের ১০ ই নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চন্দ্রশেখর রেড্ডি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৯০ সালের ১০ ই নভেম্বর থেকে আরম্ভ করে ১৯৯১ সালের ২১ সে জুন পর্যন্ত।দেবগৌড়া ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৯৬ সালের ১ লা জুন থেকে শুরু করে ১৯৯৭ সালের ২১ সে এপ্রিল সময়ে । ইন্দ্রকুমার গুজরাল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন ১৯৯৭ সালের ২১ রা এপ্রিল থেকে আরম্ভ করে ১৯৯৮ সালের ১৯ সে মার্চ পর্যন্ত। এঁদের পরেই দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী।

আজ বৃহস্পতিবার অকংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গোড়ার পাশাপাশী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের আদায়ের পদ্ধতিতেও নিয়ে এলেন বেশ কিছু নতুনত্ব। দেশের কর আদায়ে বেশ কিছু সংস্কারের কথা এদিন ঘোষণা করেছেন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ” কর দেওয়ার নিয়মকানুন যাতে সহজ-সরল হয় এবং সৎ করদাতা সম্মানিত হন, সেজন্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে। করোনা অতিমহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই এর উদ্দেশ্য।” তাঁর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী কর আদায়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্সপেয়ারস চার্টার, ফেসলেস আপিল ও ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট নামে তিনটি বিষয়ের কথাও কথা ঘোষণা করলেন।

অন্যদিকে এ এবছরের অর্থবর্ষের চলতি বাজেট বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, ” কয়েক মাসের মধ্যে ‘ট্যাক্সপেয়ারস চার্টার’ অর্থাৎ করদাতাদের সনদ ঘোষণা করা হবে। আয়কর দফতর যাতে নাগরিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিষেবা দিতে বাধ্য হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে সনদে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুযায়ীই আজ প্রধানমন্ত্রী ট্যাক্সপেয়ারস চার্টার বিষয়টির ঘোষণা করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দেশ গঠনে সৎ করদাতাদের বিরাট ভূমিকা আছে। সরকার তাঁদের সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করছে।” প্রধানমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন যে, আগামী ২৫ সে সেপ্টেম্বর থেকেই দেশের সমস্ত করদাতারা ফেসলেস আপিলের সুবিধা লাভ করতে চলেছেন। অন্যদিকে ট্যাক্সপেয়ারস চার্টার আজ থেকেই কার্যকর করে দেওয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!