এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে আর বাকি নেই! ওঁর খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করানো প্রয়োজন: লকেট চট্টোপাধ্যায়

মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে আর বাকি নেই! ওঁর খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করানো প্রয়োজন: লকেট চট্টোপাধ্যায়


বরবারই তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর চড়া করে রাজ্যরাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর বিষ্ফোরক মন্তব্য সবসময়ই নজর কেড়েছে সমালোচকমহলের। পুলওয়ামার মর্মান্তিক হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতেও সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে ছাড়লেন না তিনি। “পুলওয়ামার ঘটনায় গোটা বিশ্ব যখন শোকস্তব্ধ তখন উনি সব জায়গায় রাজনীতি দেখছেন। আমার মনে হয় ওঁর চিকিৎসার প্রয়োজন।” এমনভাবেই নাম না করে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন দাপুটে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলওয়ামা ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি চলছে। দেশেজুড়ে নির্বাচনের আগে ‘শ্যাডো ওয়ার’-এর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। এমনটা বলেই মোদী-শাহকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা। পাশাপাশি আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদকেও একই কারণে তুলোধনা করেন। সুযোগ পেয়ে এরই জবাব দিতে এদিন ময়দানে নামলেন বিজেপি নেত্রী। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ মে দিনহাটার একটি রাজনৈতিক সংঘর্ষে অভিযুক্তের তালিকায় নাম ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা। সেই মামলার জামিন পেতেই দিনহাটা আদালতে হাজিরা দেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই ক্ষোভ জাহির করে বলেন, “তৃণমূল আমাদের উপর হামলা করো আমাদের নামেই অভিযোগ দায়ের করল!” এরপরই পুলওয়ামার প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। প্রতিশোধের আগুনে গোটা দেশবাসীর রক্ত টগবগ করে ফুটছে আর মুখ্যমন্ত্রী এর মধ্যেই রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন। এই ঘটনার জন্যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে ঘৃন্য রাজনীতির প্রমাণ দিচ্ছেন। মানুষের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে আর বাকি নেই। মুখ্যমন্ত্রী যেমন দেশবিরোধী কথা বলেন, তেমন তাঁর দলও দেশবিরোধী কথা বলে। এটা বলার পর গর্জে উঠে বিজেপি নেত্রী বলেন, সারা বিশ্ব যখন শোকস্তব্ধ তখন উনি সব জায়গায় রাজনীতি দেখছেন। ওঁর খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।

তবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের এই চাঁচাছোলা আক্রমণের জবাব প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এসেছে তৃণমূলের তরফ থেকে। দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপির কাছে দেশপ্রেম শিখতে হবে না মুখ্যমন্ত্রীকে।” লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে পুলওয়ামার মতো সেনসিটিভ ইস্যুতেও আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের রাজনীতি থেকে বিরত হতে পারছে তৃণমূল-বিজেপি। গোটা ঘটনাকে নিয়েই ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্র। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আবহে এই ধরনের তোপ ও তার পাল্টা জবাবের রাজনীতি ক্রমশ জাঁকিয়ে বসবে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!