লক্ষীর ভান্ডারেও কাটমানি, বিতর্ক রাজ্যজুড়ে! চাপে ঘাসফুল! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য August 12, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মত এবার “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্প আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সমগ্র স্তরের মহিলাদের জন্য এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প আনা হয়েছে বলে রাজ্যজুড়ে প্রচার করছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এবার সেই প্রকল্পতেও কাটমানির বাড়বাড়ন্ত বলে একটি অভিযোগ সামনে এলো। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। জানা গিয়েছে, এক মহিলা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি যখন তার নথি জমা দিতে যান, তখন তার কাছে বাড়তি টাকা চাওয়া হয়। আর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো শাসকদলের এই প্রকল্প এবং তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, সরকারিভাবে এখনও ফর্ম দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কিন্তু রাজগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মহিলাদের কাছ থেকে 80 টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য। এদিন এই ব্যাপারে একই অভিযোগ করেছেন জাহেরা খাতুন নামে এক মহিলা। এদিন তিনি বলেন, “আমিও ভোটার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফটো সহ সব নথি জমা দিতে যাই। তার সঙ্গে 80 টাকা দিতে বলা হয়। এগুলো যে বিনা পয়সায় হয়, জানি না। সবাই যায় দেখে, আমিও যাই।” আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ক্ষমতায় এলে জেনারেল কাস্ট এবং sc.st.obc সম্প্রদায়ের মহিলাদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে, সেখানে ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রকল্প করার আগেই যদি সেখানে এভাবে কাটমানি নেওয়া হয়, তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করবে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যার জেরে সরকারের পক্ষ থেকে “লক্ষীর ভান্ডার” প্রকল্পের জন্য ব্যাপক প্রচার করা হলেও তার আন্তরিকতা এবং সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রকল্প চালুই হল না। কিন্তু তার আগেই ফর্ম দিচ্ছে 100 টাকা, 150 টাকা নিয়ে। এখন অগ্রিম নিচ্ছে। এরপর প্রকল্প হলে আবার কত কাটমানি নেবে জানি না। এদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। কিন্তু কেউ গ্রেপ্তার হবে না। বেকারদের কর্মসংস্থান নেই, কারখানা নেই, এটা কাটমানির কারখানা। তাই লক্ষীর ভান্ডার চালুর আগেই মা লক্ষ্মী নেতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এটাই বাংলার চিত্র।” একাংশ বলছেন, এর আগেও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে বারংবার রাজ্যজুড়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কাটমানি দিতে হয় বলে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সদ্য নতুন প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই যেভাবে সেখানে ফর্ম বিলি করা নিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -