প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিগত বাম সরকারের আমলে দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের অধিপতি ছিলেন তিনি। যাকে দেখে কার্যত বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। কিন্তু তার সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই দিয়ে এসেছেন বর্তমান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় শুভেন্দুবাবু ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লক্ষ্মণ শেঠের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখা যেত শুভেন্দু অধিকারীকে। পরবর্তীতে রাজ্য রাজনীতি দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে।

বামেরা যেমন রাজ্যের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে, ঠিক তেমনই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। কখনও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, আবার কখনও বা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আবার মাঝে তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাকে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রহণ করেনি। আর তার মাঝেই এবার সেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন একসময়কার তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, এই নন্দীগ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই লক্ষ্মণ শেঠ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা বলেন, “নন্দীগ্রামে অত্যাচারের নায়ক ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তিনি এখন তৃণমূলের হয়ে কথা বলেন। অপেক্ষায় রয়েছি। কবে লক্ষ্মণ শেঠকে মালা পড়িয়ে ওরা বরণ করে নেয়।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় সকলকে চোখ রাঙ্গানো লক্ষ্মণ শেঠ আজ কার্যত সকলের আড়ালে আছেন। তিনি নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।

আর সেই কারণেই তার অনেক দিনের ইচ্ছে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। আর এই খবর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কাছে রয়েছে। ফলে এদিন রাখঢাক না করে একদিকে লক্ষ্মণ শেঠ এবং অন্যদিকে তৃণমূলের যৌথ অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।