এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট কি সময়ের অপেক্ষা? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট কি সময়ের অপেক্ষা? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা

কেন্দ্র থেকে মোদী সরকারকে হটাতে প্রয়োজনে ধরতে হবে তৃণমূলের হাত, এমনটাই এদিন বক্তব্যে জানালেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ। দলীয় সদস্যদের আপত্তিকে উপেক্ষা করে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোটের পক্ষে সওয়াল তুললেন তিনি। এদিন বিষ্ণুপুরে জেলা কংগ্রেসের আয়োজিত একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিলয় প্রামাণিক,দলের বাকুঁড়া জেলা সভাপতি নীলমাধব গুপ্ত প্রমুখরা। এদিনের সভায় গৌরব গগৈ জানালেন, বিষ্ণুপুরের পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোটের বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক হিসাবে বিষ্ণুপুরের দলীয় সভার এসেছিলেন, এমনটাই মন্তব্যে জানায়।

তবে গৌবর গগৈর এই জোটের বার্তা নিয়ে সভায় আগত অধিকাংশ দলীয় কর্মীরাই আপত্তি তুলেছেন। তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে জোটের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তাঁরা। পাশাপাশি কংগ্রেসকে একল চলার জন্য পরামর্শ দেন। তবে এ সব পরামর্শকে বিশেষ আমল দেননি গৌরব বাবু। তিনি জানান,তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের রাজনীতি চালানোর অভিযোগ আছে ঠিকই কিন্তু তাঁদের হাত ধরে বাংলায় যদি কংগ্রেসের উত্থান হয়,সেটা দলের ভবিষ্যতের পক্ষে ইতিবাচক। তাছাড়া, রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর পদে আনার জন্য মোদীজির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কিন্তু কংগ্রেসের সংগঠন এতোটা মজবুত হয় এখনো যে একলা যুদ্ধ করে বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে। তাই দরকার পোক্ত সাংগঠনিক শক্তিযুক্ত রাজনৈতিকদলের সঙ্গে সমঝোতায় আসা। তাছাড়া রাহুল গান্ধী বলেছেন,নেতা নয়,দলের সম্পদই হচ্ছে তৃনমূল স্তরের কর্মীরা। তাই তৃনমূলকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি দিল্লি থেকে সরাসরি জেলা এবং ব্লক স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগযোগ রাখার ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন জোটের স্বার্থে। ব্লক স্তরের কর্মীদের যাতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনে নিতে পারেন তার জন্যেই এই যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরসঙ্গেই তিনি বিজেপি সরকারের সমালোচনাতেও মুখর হলেন দলীয় কর্মীদের সামনে। প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন নোটবন্দি এবং কালাধনের ইস্যু। মোদী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা কালাধন নিয়ে দেশ থেকে ফেরার হয়েছেন। আর এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন খোদ প্রধান মন্ত্রীই। এমনটাই অভিযোগে জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত, তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বিজয় মালিয়ার ঘনিষ্ঠতার কথা। রাফাল যুদ্ধবিমানের চুক্তি নিয়েও দুর্নীতি করেছে মোদীসরকার,এমনটাও কড়া ভাষায় জানালেন তিনি। তুললেন পেট্রেপণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সমস্যার কথা। বললেন,২০১৪ সালে মোদীজির প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরই এভাবে ক্রমশ দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। দেশের আমজনতা আজ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেই কংগ্রেসকে ক্ষমতায় চাইছে, দাবী পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস পর্যবেক্ষকের। তবে এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানান,গত ৪০ বছর ধরে এ রাজ্যের ক্ষমতায় কংগ্রেস না থাকলেও রাজ্যবাসীর মনে কংগ্রেস সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণাই রয়েছে। জেলা,ব্লক এবং অঞ্চল স্তরে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রচার বাড়ালেই কংগ্রেসের সংগঠন চাঙ্গা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে লোকসভা ভোটের আগে। আর সংগঠনকে পোক্ত করতে প্রয়োজনে ধরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত। এমনটাই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন গৌরব গগৈ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!