লোকসভার ভরাডুবি উড়িয়ে বিধানসভায় ঝড় তুলতে পাহাড়ে নতুন পরিকল্পনায় মমতা-ঘনিষ্ঠ বিনয়-অনীতরা উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই পাহাড়ের ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছে শাসক দল তৃণমূল। গেরুয়া শিবির ব্যাপক ভোটে পাহাড়ের দখল নিয়েছে। সামনে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখে এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে নিয়ে তৃণমূল সরকার উঠে-পড়ে লাগলো পাহাড়ে আবার জয় ফিরিয়ে আনতে। এর আগেও অবশ্য মমতা ব্যানার্জি বারংবার পাহাড়ে এসেছেন। দার্জিলিংকে ঘিরে তিনি পর্যটন শিল্পের উন্নতির কথা বলেছেন, উন্নয়নের কথা বলেছেন। কিন্তু তাতেও তৃণমূলের হার আটকানো যায়নি। এবার নতুন করে পাহাড়ে আবার প্রচার শুরু করতে চলেছে তৃণমূল সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অনিতা থাপা এবং বিনয় তামাং পাহাড়ের প্রত্যেক মহকুমায় ভিশন কমিটি গড়ার কাজ শুরু করেছে এবং এই ভিশন কমিটিতে থাকতে চলেছেন এলাকার শিক্ষক, চিকিৎসক, সমাজসেবী, খেলোয়াড়, ব্যবসায়ীর মত সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা। পাহাড়ের প্রত্যেক মহাকুমায় এই ভিশন কমিটি আগামী দিনের কাজকর্ম, উন্নয়নের রূপরেখা তৈরীর পরিকল্পনা করবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে কার্শিয়াংয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বিধানসভা নির্বাচনের কথা বলা হয় এবং পাহাড়ের নেতা-নেত্রীদের দ্রুত বুথ কমিটি তৈরি করে সংগঠনকে মজবুত করার কথা বলা হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অনিল থাপা। অন্যদিকে মিরিকেও একটি দলীয় বৈঠক করেন এদিন বিনয় তামাং। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা আবার নতুন করে দল গুছিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে জানা গেছে, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়ে অমর সিংহ রায় 26.56% ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি বিমল গুরুংয়ের এবং জিএনএলএফের জোটবদ্ধ প্রার্থী রাজু বিস্তা প্রায় 59% শতাংশ ভোটে জেতেন। অন্যদিকে দার্জিলিং বিধানসভার উপনির্বাচনেও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী এবং বিজেপির প্রার্থীর মধ্যে দেখা যায় আকাশ-পাতাল প্রাপ্ত ভোটের ফারাক। যেখানে বিনয় তামাং 29% ভোট পেয়েছেন। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন 61% ভোট। তবে করোনা পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, কিছুটা বদল এসেছে পাহাড়ে। এই সময় বিভিন্ন উন্নয়নের পরিকল্পনা এবং করোনা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ওপর মানুষের বিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্ট স্তরের মানুষকে পাশে রাখার জন্য তৈরি হচ্ছে ভিশন কমিটি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, আগামীদিনে পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা থেকেই প্রার্থী দেবে মোর্চা। তৃণমূলের সামান্য ভোট ছাড়া মোর্চার প্রার্থীকে জেতার জন্য প্রাপ্ত ভোট তুলে আনতে হবে একাই। আর সেক্ষেত্রে জনসমর্থন যে অত্যন্ত জরুরি, সে কথা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন। অন্যদিকে মোর্চার এক নেতার কথায় উঠে এসেছে, বরাবরই পাহাড়ে দলীয় নেতা নেত্রীদের বাইরে একটি বৃত্ত থাকে, যেখানে সমাজের বিশিষ্ট স্তরের ব্যক্তিরা থাকেন। এর আগে পাহাড়ে সুভাষ ঘিসিং বা বিমল গুরুং এরকম কমিটি তৈরি করতেন। এবার একইভাবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও সেই পথ ধরল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পাহাড়ে সবসময়েই অন্য সমীকরণ চলতে দেখা যায়। তাই ভিশন কমিটি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে জয়ের পথে কতটা এগিয়ে নিয়ে যাবে, তার সময়ের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -