আজই লোকসভার শেষ অধিবেশন, বিদায় ও নতুন আশার সুর মিলেমিশে একাকার সংসদ ভবন চত্বরে জাতীয় রাজ্য February 13, 2019 অনেক রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী দেশের সংসদ ভবন। আর অবশেষে আজই ষষ্ঠদশ লোকসভার সর্বশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেই সংসদ ভবনে। কেননা আর কদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের পরেই ফের নতুন করে নতুন সরকারকে নিয়ে বসবে এই লোকসভার অধিবেশন। তাই এখন গোটা সংসদ ভবন চত্বরে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করে দিয়েছে। হয়তো আগামী লোকসভার অধিবেশনে বর্তমানের অনেক সাংসদকেই দেখা যাবে না, আবার অনেকেই হয়তো ফের জয়ী হয়ে সাংসদ হিসেবে লোকসভায় ফিরে আসবেন। আবার বার্ধক্যজনিত কারণে হয়তবা অনেকেই রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। তাই শেষ দিনে সকলের মনেই দলমত নির্বিশেষে বিষন্নতার সুর বাজতে শুরু করে দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এবার রাজনৈতিক দিক থেকে অবসর নেওয়ার একদম শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন বিজেপির লালকৃষ্ণ আদবানি। জানা গেছে, প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ 1970 সালে রাজ্যসভায় পা রাখেন। আর এরপরই 1984 সালে হিন্দুত্ব রাজনীতির প্রধান মুখ হিসেবে বিজেপিকে রাজ্যসভায় তুলে ধরেন সেই লালকৃষ্ণ আদবানি। আর এরপর অটলবিহারি বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় উপ- প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় রাজনীতির দিকের বদল ঘটিয়ে অযোধ্যা রথযাত্রায় লালকৃষ্ণ আদবানির ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তবে এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রার্থী হবেন না বলেই জানা গিয়েছে। ফলে সেই দিক থেকে এহেন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আর লোকসভায় পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অন্যদিকে বিগত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে বহুজন সমাজবাদী পার্টির মায়াবতীর দলের তরফে একজনও সেই লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করেননি। ফলে এবার সেই অংকে কিছুটা বদল হয় কিনা সেই দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। পাশাপাশি কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী এবারও সেই রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন, নাকি সেখানে গান্ধী পরিবারের নতুন কাউকে প্রার্থী করা হয় সেদিকেও নজর রয়েছে অনেকের। সব মিলিয়ে 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আজই শেষ হতে চলেছেন ষষ্টদশ লোকসভার অধিবেশন। আপনার মতামত জানান -