চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ভরসার অন্যতম মুখ – লোকসভার আগেই জল্পনা বাড়িয়ে বড়সড় পদক্ষেপ জাতীয় January 15, 2019 লোকসভা ভোটের আগেই চূড়ান্ত অস্বস্তি বাড়িয়ে বিপাকে পড়লেন বিজেপি বিরোধী মহাজোটে ভরসার অন্যতম মুখ। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার উমর খালিদ,অনির্বাণ ভট্টাচার্য সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ১২ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এঁরা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র ছিলেন একসময়। সোমবার দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে চার্জশিট দাখিল করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে আকিব হুসেন, মুজিব হুসেন, মুনিব হুসেন, ওমর গুল, রাইয়া রসুল, বসির ভাটেরও। এঁরা জেএনইউতে পাঠরত কাশ্মীরী ছাত্র ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতা বিদ্বেষ ছড়ানো সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির কমপক্ষে ৮ টি ধারার মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইউ ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন দেশবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে। সংসদ হামলার মূল চক্রী আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলেছিল জেএনইউ-র বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। শ্লোগানটি ছিল-‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি।’ এই শ্লোগানে জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি কানহাইয়া কুমারের সঙ্গ দিয়েছিলেন উমর খালিদ,অনির্বাণ,ওমর গুলরা। দিল্লির জেএনইউয়ের মতো প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাটিতে দাঁড়িয়ে কানহাইয়া কুমারের নেতৃত্বে কিছু ছাত্ররা দেশবিরোধী শ্লোগান তুলছেন,বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন-এই খবর চাউড় হতেই বিতর্কের ঝড় উঠে যায় গোটা দেশে। এদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার দিন দুয়েক পরে বসন্তকুঞ্জ এলাকা থেকে কানহাইয়া কুমার,উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং বিক্ষোভের সিসিটিভি ফুটেজ কানহাইয়া কুমারদের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ পুলিশের সামনে রাখে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে পরবর্তীকালে ব্যক্তিগত জামিনো মুক্তি পান কানহাইয়া কুমার। এছাড়া উমর খালিদ এবং অনির্বাণেরও সাজা মকুব হয় অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ায়। তবে এর পরেও বিভিন্ন আলোচনা সভায়,সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় এইসব ছাত্রনেতাদের। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলকে। এই মামলার পর জেএনইউ ছাত্রসংগঠনের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় কানহাইয়া কুমারকে। এছাড়া মাঝপথে পিএইচডির কাজও বন্ধ হয়ে যায় উমর খালিদ এবং অনির্বাণের। তাঁদের থিসিসই জমা নিয়ে অস্বীকার করেন অধ্যাপকেরা। সেই মামলা চলাকালীন প্রায় বছর তিনেকের মাথায় চার্জশিট পেশ করল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মঙ্গলবার ওই চার্জশিট খতিয়ে দেখবে পাটিয়ালা হাউজ কোর্ট,এমনটাই আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক লোকসভা ভোটের মুখে এই মামলার চার্জশিট পেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করা হয়েছে বলে দাবী করলেন কানহাইয়া কুমার। তবে দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখে কটাক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লি পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে জেএনইউ-এর কৃতী ছাত্রদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা নিয়ে আদালতে কেমন জলঘোলা হয় তা নিয়েও টান টান উত্তেজনা রয়েছে এই মুহূর্তে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে। আপনার মতামত জানান -