এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > লোকসভার আগে চাপ বাড়িয়ে তৃণমূলের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আক্রান্ত দলীয় কাউন্সিলররা

লোকসভার আগে চাপ বাড়িয়ে তৃণমূলের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আক্রান্ত দলীয় কাউন্সিলররা

উত্তপ্ত হালিশহর পুরসভা! লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল পুরসভায় কাউন্সিলরের স্বামী সহ একাধিক কাউন্সিলর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায়। চেয়ারম্যান অংশুমান রায়ের নেতৃত্বেই এই এই হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে,এমনটাই অভিযোগ আক্রান্ত কাউন্সিলরদের। ঘটনার অব্যবহিত পরেই নিকটস্থ বীজপুর থানায় চেয়ারম্যান সহ আরো বেশ কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল্পনা বিশ্বাস নামের এক কাউন্সিলর।

প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে চেয়ারম্যান অংশুমান বাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একটা অভিযোগও মানতে চাইলেন না। গোটা ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার ধমক দেওয়া সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। এদিকে শিয়রে লোকসভা ভোট। এই প্রেক্ষিতে দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শাসকদলের স্ট্র্যাটাজি কী হবে তা নিয়েই জোর চর্চা চলছে জোড়াফুল শিবিরে, এমনটাই জানা গিয়েছে দলীয় সূত্রের খবরে।

প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন কাউন্সিলার কল্পনা বিশ্বাস, বন্ধুগোপাল সাহা, অশোক যাদব, সুজাতা বিশ্বাস, মহাদেব বিশ্বাস, সিআইসি সদস্য মৃত্যুঞ্জয় দাস, জিয়াউল হক এবং কল্পনাদেবীর স্বামী শ্যামল বিশ্বাস পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারের ঘরে যান এলাকার ডেঙ্গু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনে। এমনটাই জানালেন কল্পনা দেবী। তিনি আরো জানালেন, সেসময় তাঁর স্বামী বাইরেই ছিলেন। হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদেকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাটিতে ফেলে মারধোর করা হয় কাউন্সিলরদের।

এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর জেরে তিনজন কাউন্সিলারই আক্রান্ত হয়েছেন,এমনটাই অভিযোগে জানালেন সিআইসি সদস্য মৃত্যুঞ্জয় দাস। অভিযোগে আরো জানা গিয়েছে,কল্পনা দেবীর স্বামী শ্যামল বিশ্বাসকে মাটিতে ফেলে মারধোর করা হয়। মাথায় পেপারওয়েট দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলার জেরে তাঁর স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

এই প্রেক্ষিতে পুুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করলেন। জানালেন, কাউন্সিলরদের বলা আছে কোনো সমস্যা হলে সরাসরি তাকে জানাতে। পুরসভায় আপাততই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে তাই কে কি কাজ পাচ্ছে তা জানা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। ঘটনার দিন কাউন্সিলররা পুরসভায় এসে জানতে চান কেন তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। ডেঙ্গু নিয়ে আদতে তাঁরা কিছু জানতেই আসেননি,এমনটাই দাবী চেয়ারম্যানের। কাউন্সিলাররা সমস্তটাই মিথ্যা রটনা করছে। আসলে ওদিন কাজ পাওয়া নিয়ে কথা বলতে দলেরই এক কাউন্সিলার এবং অন্য কাউন্সিলারের স্বামী চেয়ারম্যানের নামে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে তারপরই তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। তাছাড়া ওই কাউন্সিলারের স্বামী তো কাউন্সিলারই নন,তিনি বহিরাগতই। তার কোনো অধিকারই নেই এধরণের কাজ করার। তিনি জানান,কোনো মারামারি হয়নি ওদিন,শুধুমাত্র ধস্তাধস্তি হয়েছে। ঝামেলা শুরু হলে চেয়ারম্যান বেরিয়ে যান। সামান্য ঘটনা ঘটেছে। তিলকেই তাল করছে কাউন্সিলররা। এমনটাই দাবীতে জানালেন অংশুমান বাবু।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

গোটা ঘটনাটাই দলীয় নেতৃত্বদের জানানো হয়েছে। দলীয় স্তরের আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এটা মেটানো সম্ভব হবে বলেই আশা করছেন চেয়ারম্যান। অন্যদিকে অন্য এক কাউন্সিলার প্রণব লৌহ জানান,অশান্তির খবর শুনে তিনি পুরসভা গিয়েছিলেন। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলেও দাবীতে জানালেন তিনি। এটাকে নিন্দনীয় ঘটনা বলেই ব্যাখ্যা করলেন তিনি। সমস্ত ঘটনাটা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেও জানালেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!