এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভায় চূড়ান্ত সফল “মহুয়া মডেল” দিয়েই উপনির্বাচনে বাজিমাত করার পরিকল্পনায় ঘাসফুল শিবির

লোকসভায় চূড়ান্ত সফল “মহুয়া মডেল” দিয়েই উপনির্বাচনে বাজিমাত করার পরিকল্পনায় ঘাসফুল শিবির

 

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল অনেক আসন হারালেও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র তাদের দখলেই ছিল। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছেন মহুয়া মৈত্র। জানা যায়, তিনি নিজের ক্যাপাবিলিটিতেই বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা করে নিজের জয় নিশ্চিত করেছিলেন। তবে মহুয়াদেবীর কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচন হওয়ায় তিনি ফের “ওয়ার রুম” তৈরি করে ফেলেছেন। যার মাধ্যমে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন মহুয়া মৈত্র বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

সূত্রের খবর, করিমপুরের আনন্দপল্লিতে বিধায়ক কার্যালয়ে এই হাইটেক ওয়ার রুম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে 25 থেকে 30 জন যুবক যুবতী সকাল ন’টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত কাজ করছেন। এই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটি এলাকায় বুথ সভাপতিদের ফোনে মাঝেমধ্যেই ফোন যেতে শুরু করেছে সেই ওয়ার রুম থেকে।

যেখানে বলা হচ্ছে, “মহুয়া মৈত্রর অফিস থেকে বলছি।” আর এরপরই দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে প্রচারের কাজ কেমন চলছে, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছ থেকে। পাশাপাশি প্রার্থী এবং প্রাক্তন বিধায়িকা তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র কোথায় প্রচারে যাবেন, তা আগে থেকেই সেই এলাকার নেতাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ওয়ার রুমের মাধ্যমে।

অনেকে বলছেন, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। আর তাই তার ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের জয় নিশ্চিত করতে তিনি ফের এই পদ্ধতি অবলম্বন করলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এই ওয়ার রুমে অত্যন্ত সন্তর্পনে বেশ কিছু কাজ করা হচ্ছে। দলের সংগঠন শক্তিশালী থেকে শুরু করে কোন জায়গায় কি ফর্মুলা প্রয়োগ করলে প্রার্থী জিততে পারে, তার প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে এই ওয়ার রুমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল সমর্থক বলেন, “261 টি বুথ সভাপতিকে প্রত্যেকদিন ফোন এবং রিপোর্ট সংগ্রহ করাই এই রুমের অন্যতম কাজ। ফোন করে জানতে চাওয়া হচ্ছে, এলাকায় কত জায়গায় দেওয়াল লিখন হয়েছে! কত জায়গায় বাকি রয়েছে! পাশাপাশি শুধু মুখের কথায় বা কারো দাবির উপর ভরসা না করে নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সেই ছবি পোস্ট করতে হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। প্রার্থী এবং মহুয়াদেবীকে ছাড়া কতগুলো মিটিং, সভা হয়েছে! তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও কারও কিছু মতামত, অভিযোগ বা অন্য কিছু জানানোর প্রয়োজন আছে কিনা, সেটাও জানতে চাওয়া হচ্ছে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মহুয়া মৈত্র এর আগে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর আম আদমি কা সিপাহি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি করিমপুরে এসে প্রথমে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে দাঁড়িয়ে কর্পোরেট স্টাইলে ভোট বৈতরণী পার হয়েছেন। অনেকে এই ব্যাপারে তাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছিল। কিন্তু যখন বিজেপির উত্থান ঘটছে, ঠিক তখনই তার এই কর্পোরেট স্টাইল এবং প্ল্যানিং তাকে জয় এনে দিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সেই মহুয়াদেবী দলীয় প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে সেই ওয়াররুমের ওপরই ভরসা রাখতে চলেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, “এইসব মহুয়াদেবীর কার্যকলাপ। ওনার পরিকল্পনাতেই আমি এগোচ্ছি।”

এদিকে মহুয়া মৈত্রর এই কার্যকলাপ দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যরাও। সব মিলিয়ে লোকসভায় বাজিমাত করলেও ওয়াররুমের সাহায্য নিয়ে মহুয়া মৈত্র তাঁর ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিমলেন্দুবাবুকে জেতাতে সক্ষম হন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!