এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের রুখতে কতটা তৈরী ‘নমো’ – গেরুয়া শিবির শুরু করে দিল সেই পরীক্ষা

লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের রুখতে কতটা তৈরী ‘নমো’ – গেরুয়া শিবির শুরু করে দিল সেই পরীক্ষা

আর মাস কয়েক পেরোলেই বহু কাঙ্খিত ১৯’এর লোকসভা ভোট। নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনো সরকারিভাবে ঘোষিত না হলেও আর যে বেশিদিন বাকি নেই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে তৎপরতা। এই মুহূর্তে আমজনতা কী চাইছে? চলতি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে তাঁদের দাবীদাওয়াগুলো কী কী? কোন কোন ব্যাপারে তাঁরা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ রয়েছেন?

দেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া কতোটা প্রবল? এই সংক্রান্ত হাজারো প্রশ্নের উত্তর পেতে এবং দেশবাসীর মন বুঝতে এবার প্রযুক্তিকে মাধ্যম করেই আসরে নেমে পড়ল বিজেপি সরকার। এবার ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের নানান বিষয়ে সুবিধা-অসুবিধার কথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন দেশের আমজনতা।

পাশাপাশি,স্থানীয় বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা,এমনকি মহাজোট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তাঁরা জানতে পারবেন আঙুলের একটু ছোঁয়ায়। ন’টি ট্যাবের মাধ্যমে উত্তরদাতাকে রেটিং করতে হবে প্রশ্নের উত্তরের। আর তারপরের জানা যাবে দেশের মানুষের মতামত। আসলে লোকসভা ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতেই যে এই জনমত সমীক্ষার উপর ভরসা রাখছেন মোদী,তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত,এই ‘নমো’ অ্যাপে বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে প্রশ্নের একটি বড় অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই মুহূর্তে মোদীসরকারকে সবথেকে বেশি চাপে ফেলছে যেটা,সেটা হল এই বিরোধীদের প্রস্তাবিত মহাজোট। একলা চলো নীতি নিয়ে যে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করা কার্যত অসম্ভব সেটা বুঝতে পেরেই একে একে জোট বাঁধছে বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলো। আর তাতেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ছে মোদী-শাহের।

কারণ এই মুহূর্তে ১৯’এর নির্বাচনের প্রেক্ষিতটি গত লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটের মতো অতোটা মসৃণ নয় বিজেপির কাছে। সেসময় মোদীর ভাবমূর্তিই যথেষ্ট ছিল নির্বাচনী যুদ্ধ জয়ের জন্যে। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে পাল্টে গিয়েছে অনেক কিছু। মোদী ম্যাজিক ফিকে হয়েছে। বিরোধীরা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। এই সময় প্রতিপক্ষদের সম্মিলিত আক্রমণের সামনে মোদী একা কতোটা লড়াই করতে পারবেন এ নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের শাসকদলের অন্দরে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই মুহূর্তে বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য হল বিরোধীদের মহাজোটে ফাটল ধরানো। আর তাঁরা করছেনও তাই। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং রামলীলার ময়দানে বিরোধীদের জোটকে তীব্র কটাক্ষ করে একা লড়াই করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই ‘নীতিহীন’ এই জোটের মুখে প্রশ্নচিহ্ন লাগিয়েছেন। তবে কেন্দ্রের শাসকদলের কথায় কান না দিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইতেই বিশ্বাস রেখেছেন বিরোধীরা। এবং রাজস্থান,মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে জয় হাসিল করে মোদীর ভাবমূর্তি এবং গ্রহনযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়,একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির দোষত্রুটি তুলে ধরে বার বার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে এই বিজেপি সরকার কতোটা জনস্বার্থবিরোধী। এমনটাই অভিজ্ঞমহলের মতামত। এই অবস্থায় একটু হলেও লোকসভা ভোটের আগে আত্মবিশ্বাসে আঘাত লেগেছে মোদীর। তাই বিরোধীদের মহাজোট নিয়ে সাধারণ মানুষের কী চিন্তা ভাবনা রয়েছে? তাঁরা আদৌ এই জোটকে সমর্থন করছেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তৎপর হয়ে উঠেছেন নরেন্দ্র মোদী।

সম্প্রতি ফেসবুক এবং ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিও সেয়ার করেছিলেন। তাতো বলা হয়েছিল,’নমো অ্যাপের মাধ্যমে আমি সরাসরি আপনাদের মতামত নিয়ে সমীক্ষা করতে চাই। বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের মতামত আমাকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।’ অর্থাৎ, দেশবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন করেছেন,তাঁদের মতামত দিতে এবং অন্যান্যদেরও মতামত দেওয়ার আর্জি করতে। এই ‘নমো’ অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপি সরকারের জনস্বার্থমুখী দিক গুলোও তুলে ধরা হচ্ছে। গত সাড়ে চার বছর ধরে মোদী সরকার বেশ কয়েকটি কর্মসূচী নিয়েছেন।

যেমন- দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, স্বচ্ছ ভারত, জাতীয় নিরাপত্তা, সুদৃ‌ঢ় অর্থনীতি, পরিকাঠামো নির্মাণ, প্রান্তিক এবং গরিব মানুষের সুরাহা, কর্মসংস্থান, গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন। এই সব প্রকল্পের প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে। এবং এইসব প্রকল্পে নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ রয়েছে কিনা তা নিয়েও মতামত জানতে চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জনপ্রিয়তার নিরিখে তিনজন বিজেপি নেতার নাম জানতে চাওয়া হচ্ছে। এই জনসমীক্ষা কেবল লোকসভা নির্বাচনে জনসংযোগ বাড়াতে কার্যকরী হবে না,পাশাপাশি ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কোনো বিজেপি সংসদ খারাপ রেটিং পেলে তাকে ভোটের টিকিট থেকে বঞ্চিত করা হবে। এমনটাই জানা গেল বিজেপি সূত্রের খবর থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!