এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লোকসভার আগেই কি দলবদল করছেন মালদার দুই কংগ্রেস সাংসদ? ইঙ্গিত অমিত শাহের সভাতেও

লোকসভার আগেই কি দলবদল করছেন মালদার দুই কংগ্রেস সাংসদ? ইঙ্গিত অমিত শাহের সভাতেও

বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে মালদহের 2 কংগ্রেস সাংসদ দল বদল করতে পারেন। কিন্তু সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে আপাতত কংগ্রেসেই রয়েছেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নুর এবং দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।

কিন্তু এবারে সেই মালদহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভা থেকেই জেলার 2 কংগ্রেস সাংসদকে জোর কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতা নেত্রীরা। কংগ্রেসের এই দুই সাংসদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল কংগ্রেসকে চাপে ফেলার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদহের কোতোয়ালি ভবনের এই দুই কংগ্রেস সাংসদকে উদ্দেশ্য করে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কোতোয়ালির দুই সাংসদ নিজেরাও বুঝে উঠতে পারছেন না যে তারা কংগ্রেসে নাকি তৃণমূলে আছেন। যে কোনো সময় মুখ্যমন্ত্রী স্মরণ নিয়ে ওনারা বলতে পারেন, হে মাত:, ক্ষমা করো মোরে, ভুল বুঝিয়া ফিরিয়াছি ঘরে। তাই যারা বরকত গনিখান কে শ্রদ্ধা করেন তাঁরা কোতোয়ালির এই দুই সাংসদকে একটিও ভোট দেবেন না। কারণ এরা তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে চলেছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূলে যোগ দিলেও এই দুই কংগ্রেস সাংসদের এবার পরাজয় নিশ্চিত কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই মালদা জেলায় কংগ্রেসের দখলে থাকা দুটি আসনের ভোট ভাঙতে এবং গনি পরিবারের ভোটব্যাংক বিজেপির দিকে টানতে সেই মৌসম এবং আবু হাসেমকে কটাক্ষ করে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক শক্ত করার চেষ্টা করলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।

তবে বিজেপি নেতাদের এহেন দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা সাংসদ মৌসম বেনজীর নূর। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা হলেন পরিযায়ী পাখি। তাই তারা এখানে এসে কি বললেন তার কোনো গুরুত্ব নেই। যারা সারা দেশে গণতন্ত্র হত্যা করছে, তারাই আবার বাংলায় এসে গণতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ করছে। বিজেপিকে রুখতে সব ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি একসঙ্গে রয়েছে।”

এদিকে এদিনের এই সভাস্থল থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র। যার পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “ন্যুনতম রুচি ও সংস্কৃতিবোধ থাকলে একজন ভদ্রমহিলা সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী তথা আমাদের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেই বিজেপি নেতারা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তারা ঠিক কতটা নিম্নমানের রুচিবোধের পরিচয় দিলেন।”

সব মিলিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে মালদহে বিজেপির অমিত শাহের সভা থেকে বিজেপি বনাম রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজনৈতিক লড়াই তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!