এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন দলীয় নেতা নয়, ‘বহিরাগতদের’ জন্য লোকসভার টিকিটের ‘অবারিত দ্বার’ স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ

কেন দলীয় নেতা নয়, ‘বহিরাগতদের’ জন্য লোকসভার টিকিটের ‘অবারিত দ্বার’ স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ

নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই লোকসভা ভোট। অন্যান্য রাজনৈতিক দল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিলেও বিজেপির তরফ থেকে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত হল না। তারউপর চাপ বাড়িয়ে খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রার্থী বিষয়ক একটি মন্তব্য সামনে এল।

দিলীপ বাবু কার্যত স্বীকার করেই নিলেন রাজ্যের ৪২ টি কেন্দ্রে উপযুক্ত প্রার্থীর অভাব রয়েছে বিজেপিতে। তাঁর বক্তব্য,’ভোটে জিতে লোকসভায় চলে যাওয়ার জন্য তেমন যোগ্য প্রার্থী নেই আমাদের। তাই যাঁদের এ ধরনের ভোটে জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে, অন্যদল থেকে যেসব বিজয়ী প্রার্থী আসছেন, তাঁদের খোলা মনে স্বাগত জানাচ্ছি।’

অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চাইলেন তৃণমূল থেকে আসা সৌমিত্র খাঁ, অনুপম হাজরা, অর্জুন সিং, দুলাল বর কিংবা সিপিএমের খগেন মুর্মুদের লোকসভা অথবা বিধানসভায় জেতার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তবে এ নিয়ে বেশ অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বিজেপির একাংশের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের মতে,বিজেপি দলের দীর্ঘদিনের স্থায়ী সদস্যদের পরিবর্তে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আসা সদস্যদের ভোটের প্রার্থী করছে। এর ফলে দীর্ঘদিনের পুরানো নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তবে দিলীপ বাবুর মতে,বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৪ হাজার প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এঁরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিনের বিজেপির স্থানীয় নেতা-নেত্রী। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা ভোটের যে নির্দিষ্ট পার্থক্য রয়েছে সেটা উল্লেখ করেই তিনি আরো বলেন,’সংসদের নিম্নকক্ষের একটি সুনির্দিষ্ট ‘স্ট্যাটাস’ রয়েছে। তাই দেখেশুনে প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিতে হবে।’

তবে এ বছরের লোকসভা ভোটে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দল,দলের বাইরে এমনকি ভিনরাজ্য এবং বিদেশ থেকেও বিজেপির প্রার্থী হওয়ার হওয়ার একাধিক আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এটা স্বীকার করে নিয়ে দিলীপ বাবু বলেছেন,সব ছেড়ে কেটে প্রায় ৪০০ নামের তালিকা প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্যে গড়ে বিকল্প সম্ভাব্য প্রার্থীর নামও থাকছে। এই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্যে গত শুক্রবার রাতে রাজ্যবিজেপির দপ্তরে একটি নির্বাচনী বৈঠকও ডাকা হয়। সেখানে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বেরা প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে সম্ভাব্য নামের তালিকা নিয়ে আলোচনা করে।

এরপর আগামী ১৭ এবং ১৮ মার্চ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার জন্যে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে। ১৮ মার্চ সেই বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার প্রার্থীতালিকা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী একবারেই ঘোষিত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় মোট পাঁচটি আসনের জন্যে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষিত হতে পারে। তাই ১৮ মার্চ রাতেই বিজেপির বহু কাঙ্খিত লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়ে যাবে,এমনটাই খবর দলীয় সূত্রের।

এদিকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপিপন্থী অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসরা ধর্ণায় বসেছিলেন রাজ্যসরকারের অসহযোগী আচরণের প্রতিবাদ করে। একাধিক দাবীকে সামনে রেখে ৩৬ ঘন্টার বনধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে তৃণমূল ত্যাগী কর্ণেল সব্যসাচী বাগচি, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আর কে হান্ডা, সুজিত ঘোষ যেমন উপস্থিত ছিলেন তেমনি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভারতী ঘোষের উজ্জ্বল উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্য করার মতো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!